Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

শুরুতেই রাজ্যের ভাঁড়ার ভরেছে জিএসটি

যা ইঙ্গিত মিলছে, তাতে যুক্তমূল্য কর বা ভ্যাট জমানায় মাসে যে-পরিমাণ রাজস্ব আসত, পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) আদায় তা ছাপিয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া বাড়তি পাওনাও মিলতে পারে। কারণ, আগের বছরের তুলনায় ১৪% রাজস্ব বৃদ্ধি না-হলে কেন্দ্রের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণও পাবে রাজ্য।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৭ ১০:৩০
Share: Save:

জিএসটি চালু হওয়ার পরে ২৫ অগস্ট প্রথম দফার কর জমা পড়েছে। যার প্রাথমিক তথ্য দেখে রাজ্য অর্থ দফতরের কর্তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। কারণ, যা ইঙ্গিত মিলছে, তাতে যুক্তমূল্য কর বা ভ্যাট জমানায় মাসে যে-পরিমাণ রাজস্ব আসত, পণ্য-পরিষেবা কর (জিএসটি) আদায় তা ছাপিয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া বাড়তি পাওনাও মিলতে পারে। কারণ, আগের বছরের তুলনায় ১৪% রাজস্ব বৃদ্ধি না-হলে কেন্দ্রের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণও পাবে রাজ্য।

জিএসটি তড়িঘড়ি চালু করা নিয়ে অবশ্য রাজনৈতিক বিরোধিতার পথেই হেঁটেছে রাজ্য। ফলে রাজস্ব বাড়ার প্রবণতা নিয়েও এখনও কিছু কবুল করেননি অর্থমন্ত্রী। অমিত মিত্র বলেন, ‘‘এ পর্যন্ত কোনও তথ্য মেলেনি। প্রথম মাস দেখে কিছু বলাও ঠিক নয়। আরও অপেক্ষা করতে হবে।’’ জিএসটি জমা করার সফটওয়্যার ঠিকমতো কাজ করছে না, এই অভিযোগে দিন কয়েক আগেও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।

কিন্তু সেই আকচা-আকচির মাঝেও আশায় বুক বাঁধছেন অর্থ দফতরের কর্তারা। এর যথেষ্ট কারণও রয়েছে। শেষ দিনে শুধু রাজ্য জিএসটি খাতেই প্রায় হাজার কোটি টাকা জমা পড়েছে। এ রাজ্য থেকে ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি খাতে বেরিয়ে গিয়েছে ৭০০ কোটি টাকা। অর্থ দফতরের কর্তাদের আশা, মূলত ক্রেতা-প্রধান রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে যদি এত টাকা অন্য রাজ্যে যায়, তা হলে অনেক বেশি টাকা এ রাজ্যে ঢুকবে। আইজিএসটি-র প্রাপ্ত টাকার বড় অংশ ডিলাররা ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট হিসেবে পেলেও অন্তত ৪০০ কোটি টাকা রাজ্যের ঘরে থাকবে।

অর্থ দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, জিএসটির পরেও এ মাসে শেষ ভ্যাট (জুন)-এর টাকা বাবদ অতিরিক্ত ২০০ কোটি টাকা জমা পড়েছে। সব মিলিয়ে গত অগস্টে ভ্যাট, কেন্দ্রীয় বিক্রয় কর এবং পণ্য প্রবেশ কর বাবদ যে-টাকা পাওয়ার কথা, এ বার তার চেয়ে বেশিই মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

এ রাজ্যে মাত্র আড়াই লক্ষ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভ্যাট দিত। জিএসটিতে আরও ১.৪০ লক্ষ নতুন সংস্থা কর দিতে চেয়ে নথিভুক্ত হয়েছে। এর সিংহভাগই বস্ত্র এবং ওষুধের কারবারি। কর্তারা জানাচ্ছেন, অনেক সংস্থা একই ঠিকানায় একাধিক নামে নথিভুক্তি নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

GST VAT Tax জিএসটি ভ্যাট
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE