ইনস্টাগ্রামে ঝলমল করছে সদ্য কেনা দামি গাড়িটা। ফেসবুকের পাতায় অনেক টাকায় কেনা ঝকঝকে নতুন প্রযুক্তির ঘড়ি! বন্ধু-বান্ধবদের তাক লাগালেও, অক্টোবর থেকে এই সব ছবিই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির দরজায় টেনে আনতে পারে কর দফতরের দুঁদে অফিসারদের। কারণ, কালো টাকা রোখার লক্ষ্যে আগামী মাস থেকেই ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিতে কড়া নজরদারি শুরু করতে পারে কর দফতর। যার নাম ‘প্রোজেক্ট ইনসাইট।’
দফতরের এক আধিকারিকের দাবি, প্রকল্পটি চালু হয়ে যেতে পারে অক্টোবরেই। যেখানে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘পোস্ট’ করা দামি জিনিস বা বিলাসবহুল জীবনযাপনের বিভিন্ন ছবি থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে দফতর। তার পরে সেগুলি এক জায়গায় এনে সামগ্রিক ভাবে বিশ্লেষণ করা হবে। মিলিয়ে দেখা হবে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যে ভাবে এ সব কিছুর পেছনে টাকা খরচ করছেন, সেই তথ্যের সঙ্গে সরকারের কাছে জমা দেওয়া তাঁর আয় সংক্রান্ত তথ্য অসামঞ্জস্যপূর্ণ কি না।
যদি কোনও অসঙ্গতি পাওয়া যায়, তা খতিয়ে দেখবে আয়কর দফতর। যাতে হাতেনাতে ধরা যায় কর ফাঁকি বা কালো টাকা, জানাচ্ছেন ওই আধিকারিক। একই লক্ষ্যের কথা জানিয়ে এর আগে করদাতার প্যানের সঙ্গে আধার নম্বর জোড়া বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্র। প্যান-আধার জোড়ার সময়সীমা কিছু দিন আগেই বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করেছে তারা।
কেন্দ্রের এই পরিকল্পনা অবশ্য নতুন নয়। কর ফাঁকির এমন জারিজুরি আটকাতে আসতে চলা প্রোজেক্ট ইনসাইট কার্যকর করার জন্য গত বছর জুলাইয়েই এলঅ্যান্ডটি ইনফোটেকের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে কর দফতর। প্রথমে লক্ষ্য ছিল গত মে মাসের মধ্যে বিষয়টি চালু করার। এখনও পর্যন্ত তা শুরু না-করতে পারলেও, এ বার বিষয়টি নিয়ে আর দেরি করতে চায় না তারা। যে কারণে অক্টোবরেই প্রোজেক্ট ইনসাইট চালুর লক্ষ্য নিয়ে তারা এগোনো হচ্ছে বলে ইঙ্গিত।
অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের দাবি, কেউ যদি কর ফাঁকির জন্য আয় কম দেখিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেদার দেখনদারির পথে হাঁটেন, তবে দু’য়ের মধ্যে সেই ফারাক ধরা আজকের ডিজিটাল দুনিয়ায় কঠিন নয়। যা প্রমাণ করবে প্রোজেক্ট ইনসাইট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy