Advertisement
০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
Tea leaves

চায়ে ন্যূনতম দর বাঁধার দাবি শিল্পের

২০১৪ সাল থেকে এ রাজ্যে নিলামে চায়ের দামের বার্ষিক গড় বৃদ্ধি ৪%। অথচ তা উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা, গ্যাস-সহ বিভিন্ন পণ্য ও কাঁচামালের দামের বার্ষিক গড় বৃদ্ধি ৯%-১২%।

An image of Tea

দী‌র্ঘ দিন ধরে উৎপাদনের খরচ লাফিয়ে বাড়লেও, চায়ের দাম সে ভাবে বাড়ছে না বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট শিল্পের। প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৩ ০৪:৫৯
Share: Save:

দী‌র্ঘ দিন ধরে উৎপাদনের খরচ লাফিয়ে বাড়লেও, চায়ের দাম সে ভাবে বাড়ছে না বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট শিল্পের। বিরূপ আবহাওয়া চায়ের উৎপাদন ও গুণমানেও প্রভাব ফেলছে। সব মিলিয়ে ব্যবসার হাল উদ্বেগজনক দাবি করে চায়ের ন্যূনতম দাম স্থির করতে বাণিজ্য মন্ত্রকের কাছে আর্জি জানাল ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন (আইটিএ)। ক্ষুদ্র চাষিদের চা পাতার ন্যূনতম দাম বাঁধার জন্যও আবেদন করেছে তারা। এখন দেশে চায়ের অর্ধেক আসে ছোট বাগানগুলি থেকেই। পশ্চিমবঙ্গ ও অসম সরকার ওই সব প্রস্তাবে সহমত হয়ে কেন্দ্রকে তা বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে বলে দাবি তাদের।

আইটিএ-র বক্তব্য, ২০১৪ সাল থেকে এ রাজ্যে নিলামে চায়ের দামের বার্ষিক গড় বৃদ্ধি ৪%। অথচ তা উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কয়লা, গ্যাস-সহ বিভিন্ন পণ্য ও কাঁচামালের দামের বার্ষিক গড় বৃদ্ধি ৯%-১২%। দার্জিলিং চায়ের ক্ষেত্রে অবস্থা আরও কঠিন। কারণ, ওই সময়ে দাম বৃদ্ধির গড় হার ১.৮৬% হলেও, উৎপাদনের খরচ বেড়েছে তুলনায় বেশি। আইটিএ-র দাবি, শুধু বাগানে কর্মীদের দৈনিক মজুরিই ৯৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৩২ টাকা। তাঁদের নগদের সঙ্গে অন্যান্য সুবিধাও দেওয়া হয়।

এই পরিস্থিতি সামলাতেই ন্যূনতম দামের পক্ষে সওয়াল করছে চা শিল্প। আইটিএ-রসেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহার বক্তব্য, ক্ষুদ্র চাষিরা ঠিক দাম না পেলে ভাল মানের পাতার চাষ ও তার জোগান নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে। ভাল পাতার চাষ হলে চাহিদা-জোগানে ভারসাম্য আসবে। বড় বাগানগুলিও দামের নিশ্চয়তা পেলে আর্থিক দিকটা কিছুটা সামলাতে পারবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE