Advertisement
০৪ মে ২০২৪
ISRO

দলবেঁধে কাজেই সাফল্য ইসরোর: এস সোমনাথ

১৯৮৫-তে ইসরোয় যোগ দেন সোমনাথ। জানালেন, সেই সময়টা খুব কঠিন ছিল। ইসরোর তৈরি রকেটগুলি সমুদ্রে ভেঙে পড়ছিল। সাফল্য ছিল বহু দূর।

পি সি চন্দ্র গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। রবিবার সায়েন্স সিটিতে।

পি সি চন্দ্র গোষ্ঠীর অনুষ্ঠানে ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। রবিবার সায়েন্স সিটিতে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:১০
Share: Save:

তাঁর নেতৃত্বে গত বছর চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফল ভাবে অবতরণ করেছিল ইসরোর চন্দ্রযান-৩। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো-র চেয়ারম্যান সেই এস সোমনাথ রবিবার কলকাতায় ‘পি সি চন্দ্র পুরস্কার’ গ্রহণ করে বললেন, ‘‘কোনও বড় কাজ একার
পক্ষে করা সম্ভব নয়। একটা পরিবার, একটা টিমওয়ার্কই সাফল্য এনে দেয়।’’ ভারতই প্রথম দেশ, যার যান চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নেমেছে। চতুর্থ চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণে। সোমনাথের নেতৃত্বাধীন ইসরোর এই কৃতিত্বকে এ বছর সম্মান জানাল পি সি চন্দ্র গোষ্ঠী। তিনি অবশ্য বললেন, ‘‘এই পুরস্কার আমার একার নয়, পুরো ইসরো পরিবারের।’’

অনুষ্ঠানে খানিক স্মৃতিমেদুর হয়ে সোমনাথ বলেন ইসরোর যাত্রা শুরুর কথা। তাঁর কথায়, ‘‘ইসরোর সফর শুরু ষাঠের দশকে। তত দিনে অন্য দেশের যান চাঁদে পৌঁছেছে। আমরা ছোট ছোট রকেট তৈরি করছি। পরের ৬০টা বছর অনেক খেটেছি। মহাকাশ বিজ্ঞানচর্চায় তৈরি হওয়া ব্যবধান পূরণ করেছি। আজ আমরা সেই দেশগুলোর মধ্যে পড়ি, যারা চাঁদে গিয়েছে এবং চাঁদের মাটিতে পা ফেলেছে।’’

১৯৮৫-তে ইসরোয় যোগ দেন সোমনাথ। জানালেন, সেই সময়টা খুব কঠিন ছিল। ইসরোর তৈরি রকেটগুলি সমুদ্রে ভেঙে পড়ছিল। সাফল্য ছিল বহু দূর। তিনি বলেন, ‘‘এর পরের সময় অনেক পরিশ্রম করেছি। ...আজ গোটা বিশ্ব ভারতের নাম জানে। সেই সব কঠিন সময়, ব্যর্থতাকে পিছনে ফেলে এসেছি। এখন মহাকাশ বিজ্ঞান-চর্চায় আমরা বিশ্বের অন্যতম সফল দেশ।’’ সোমনাথের কথায়, ‘‘ইসরোর সাফল্যের কাহিনি থেকেই স্পষ্ট, দলগত ভাবে কাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ISRO S Somnath
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE