বার্তা চালাচালির জন্য হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। মোবাইলে ফোন করার (ভয়েস কল) পরিবর্তে এখন বেড়েছে নেট ভিত্তিক কল করার প্রবণতা। সিনেমা, সিরিয়াল, সিরিজ় দেখার জন্য কোভিডের সময় থেকেই অনেকের পছন্দ হয়ে উঠেছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। এই অবস্থায় টেলিকম নিয়ন্ত্রক ট্রাইয়ের প্রকাশিত একটি আলোচনা পত্রে দাবি, বেশিরভাগ মানুষ মেসেজ করা বা কথা বলার জন্য বিভিন্ন ওটিটি অ্যাপই বেশি ব্যবহার করছে। ফলে গত ১০ বছরে টেলিকম পরিষেবা সংস্থাগুলির ভয়েস কল থেকে আয় কমে গিয়েছে প্রায় ৮০%। এসএমএস থেকে আয় সঙ্কুচিত ৯৪%। তবে ডেটা বা ডিজিটাল তথ্যের ব্যবহার বাড়ায় তার থেকে গ্রাহক পিছু আয় বেড়েছে ১০ গুণ।
কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর (ডট) গত বছর চিঠি পাঠিয়ে ট্রাইকে ওটিটিগুলির জন্য নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা তৈরির সুপারিশ করতে বলেছিল। এ বার সেই নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা এবং কিছু ওটিটি পরিষেবায় নিষেধাজ্ঞা বসানো (যেগুলি মূলত সন্ত্রাসবাদীরা ব্যবহার করে বা কিছু জায়গায় সমস্যা তৈরির জন্য জাতীয়তা বিরোধী বিষয় থাকে) নিয়েএকটি আলোচনাপত্র প্রকাশ করল ট্রাই। সেখানে তারা বলেছে, ২০১৩-র এপ্রিল-জুনে গ্রাহক পিছু ডেটা থেকে আয় ছিল ৮.১%। গত অক্টোবর-ডিসেম্বরে হয়েছে ৮৫.১%। ওই সময়ে গ্রাহক পিছু গড় আয় ১২৩.৭৭ টাকা থেকে ৪১% বেড়ে হয়েছে ১৪৬.৯৬ টাকা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)