তেল, শ্যাম্পু, সাবানের মতো বহু স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি আমজনতার পকেটে চাপ বাড়িয়েছে। প্রতীকী ছবি।
তেল, শ্যাম্পু, সাবানের মতো বহু স্বল্পমেয়াদি ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি আমজনতার পকেটে চাপ বাড়িয়েছে। বহু মানুষই ছোট প্যাকেটের পণ্য কিনছেন। আবার সংস্থাগুলি লাভ তুলতে দাম এক রেখে মোড়ক ছোট করেছে বলেও অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিতে মুকেশ অম্বানীর ভোগ্যপণ্য সংস্থা আরসিপিএলের হাত ধরে এই বাজার হাড্ডাহাড্ডি দামের লড়াই দেখতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা। বলছেন, সম্প্রতি তারা নরম পানীয়ে নতুন করে ‘ক্যাম্পা’ ব্র্যান্ডকে ফিরিয়ে একপ্রস্ত্ ঝাঁকুনি দিয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী আমেরিকার পেপসিকো বা কোকা-কোলার থেকে পণ্যের দাম কম রেখে। এই কৌশলে ভর করে রোজকার ব্যবহারের ভোগ্যপণ্যেও তীব্র হতে পারে দাম-যুদ্ধ। যেখানে সাবান, মেঝে পরিষ্কারের মতো ব্যক্তিগত ও গৃহস্থালি পণ্য নিয়ে সদ্য পা রেখেছে সংস্থাটি।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে চড়া মূল্যবৃদ্ধির জমানায় দামের এমন লড়াই সাময়িক হলেও কিছুটা সুবিধা দিতে পারে ক্রেতাকে। অতীতে যা দেখেছিল টেলিকম বাজার। বছর সাতেক আগে গোড়ায় কার্যত নিখরচায় এবং পরে সস্তার পরিষেবা দিয়ে টেলি পরিষেবা ব্যবসার ছবিটা বদলেছিল মুকেশেরই রিলায়্যান্স জিয়ো। প্রতিদ্বন্দ্বীরা মাসুল কমাতে বাধ্য হয়। পরে অবশ্য জিয়ো-সহ সব সংস্থারই মাসুল বেড়েছে।
তবে আরসিপিএলের পণ্য নির্দিষ্ট কিছু বাজারে মেলে। সংস্থার দাবি, তারা ডিলার সংযোগ গড়ছে। ধীরে ধীরে সর্বত্র মিলবে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ১১০০০ কোটি ডলারের (প্রায় ৯,০৭,৫০০ কোটি টাকা) এই ভোগ্যপণ্য বাজারে কর্তৃত্ব হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, পিঅ্যান্ডজি, রেকিট, নেসলের মতো সংস্থার। তাদের সঙ্গে পাল্লা দিতে চায় আরসিপিএল। তাতেই দাম-যুদ্ধের ইঙ্গিত মিলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy