Advertisement
০৭ মে ২০২৪
জিও-কে দোষারোপ এয়ারটেলের

সব টেলি সংস্থাকে ট্রাই বৈঠকে ডাকল ৩০ সেপ্টেম্বর

যুদ্ধ অবসানের ইঙ্গিত নেই। বরং প্রায় রোজই নতুন করে শুরু হচ্ছে সংঘাত। এ বার রিলায়্যান্স জিও-কে সাম্প্রতিক সংযোগ সমস্যার জন্য দায়ী করে পাল্টা পত্রাঘাত ভারতী এয়ারটেলের। জবাবে সেই অভিযোগ উড়িয়েও দিয়েছে জিও।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:২৭
Share: Save:

যুদ্ধ অবসানের ইঙ্গিত নেই। বরং প্রায় রোজই নতুন করে শুরু হচ্ছে সংঘাত। এ বার রিলায়্যান্স জিও-কে সাম্প্রতিক সংযোগ সমস্যার জন্য দায়ী করে পাল্টা পত্রাঘাত ভারতী এয়ারটেলের। জবাবে সেই অভিযোগ উড়িয়েও দিয়েছে জিও। আর, এই চাপান-উতোরের পরিপ্রেক্ষিতে সব টেলি পরিষেবা সংস্থাকে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বৈঠকে ডেকেছে ট্রাই।

ট্রাই চেয়ারম্যান আর এস শর্মা মঙ্গলবার বলেন, ‘‘রিল জিও মাশুল সক্রান্ত নিয়ম ভেঙেছে বলে অভিযোগ এনে বেশ কিছু টেলি পরিষেবা সংস্থা আমাদের কাছে চিঠি লিখেছে। তারাই আলোচনায় বসার দাবিও তুলেছিল। সেই কারণেই বৈঠক ডাকা হল।’’

উল্লেখ্য, জিও-র সিম থেকে অন্য সংস্থার ফোনে কল করা যাচ্ছিল না বলে গোড়ায় অভিযোগ তুলেছিল রিলায়্যান্স। এ জন্য তারা ভোডাফোন, এয়ারটেল, আইডিয়া-র দিকেই আঙুল তুলে দাবি করেছিল, অন্য সংস্থার কাছ থেকে তারা প্রয়োজনীয় ‘পয়েন্টস অফ ইন্টারকানেকশন’ (পিওআই) পাচ্ছে না। পরে ট্রাই-এর হস্তক্ষেপে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পরে সেই সমস্যা কিছুটা মেটে। কিন্তু ক’দিন পরে ফের তারা একই অভিযোগ করে। যদিও পুরনো সংস্থাগুলির পাল্টা দাবি ছিল, যথেষ্ট পরিমাণেই পিওআই দিয়েছে তারা।

এরপর ফের আসরে নামতে হয় ট্রাই-কে। সব সংস্থার থেকে ফোনের তথ্য চায় তারা। যা বিশ্লেষণ করে ন্যূনতম মাপকাঠির চেয়ে ‘কল-ড্রপ’ বেশি হওয়ার কথা জানান শর্মা। কোনও সংস্থার নাম না-করলেও তিনি বলেছিলেন, অভিযুক্ত সংস্থাগুলির কাছে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠাবেন তাঁরা।

তবে এ বার রিল জিও-কেই পাল্টা কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে এয়ারটেল। তারা বলেছে, জিও-র প্রস্তুতির অভাবের জন্যই সমস্যা হচ্ছে। তাদের অভিযোগ, ‘‘বাণিজ্যিক ভাবে পরিষেবা চালুর আগেই বিপুল সংখ্যক গ্রাহককে তা পরীক্ষামূলক ভাবে দেওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটছে।’’ এয়ারটেলের বক্তব্য, শুধু পিওআই দিলেই হয় না। যাকে দেওয়া হচ্ছে, তারও নেওয়ার ক্ষমতা থাকা চাই।

যেমন এয়ারটেলের দাবি, এখনও পর্যন্ত ৩০৪৮টি পিওআই দেওয়া হলেও ২৪৮৪টি কার্যকর হয়েছে। এবং এই সংখ্যা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এয়ারটেলের ‘টিম’ উদ্যোগী হলেও উল্টো দিকে, জিও-র তরফে প্রস্তুতির অভাবের জন্যই সেগুলি কাজে লাগাতে বাড়তি সময় লাগছে। অভিযোগ মানতে নারাজ জিও-র পাল্টা দাবি, তাদের তরফে আগাম প্রস্তুতিতে কোনও খামতি ছিল না। বরং পুরনো সংস্থাগুলি প্রতিযোগিতায় বাধা দিতেই জিও-কে তা দেয়নি। এবং এখনও দৈনিক গড়ে জিও থেকে এয়ারটেলে ১.৬ কোটিরও বেশি ফোন মাঝপথে আটকে যাচ্ছে।

সব মিলিয়ে জট নতুন করে বাড়ছে বই কমছে না। ট্রাইয়ের বৈঠক কোনও রফাসূত্র দেয় কি না, সে দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছে শিল্পমহল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TRAI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE