বিরল আচার্য, সুভাষচন্দ্র গর্গ
দু’দিনেই টাকার সাপেক্ষে ডলারের দাম নেমে এসেছে ১৫০ পয়সা। শুক্রবার সেনসেক্সও উঠেছে ৫৮০ পয়েন্ট। আর সেই সমস্ত পরিসংখ্যানকে হাতিয়ার করেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্যকে টুইটে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় আর্থিক বিষয়ক সচিব সুভাষচন্দ্র গর্গ।
শীর্ষ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতাকে গুরুত্ব না দিলে, বাজারের রোষের মুখে পড়তে হবে বলে তুফান তুলেছিলেন আচার্য। শুক্রবার টুইটে অর্থনীতির সাম্প্রতিক ভাল খবরগুলি তুলে ধরে গর্গের প্রশ্ন, এই তবে বাজারের রোষ?
অনেকে বলছেন, এ ভাবে প্রায় বিনা প্ররোচনায় সরকারের তরফে শীর্ষ ব্যাঙ্ককে প্রকাশ্য খোঁচা দেখা গিয়েছে কমই। তেমনই পাল্টা এসেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফ থেকেও। এ দিনই শীর্ষ ব্যাঙ্কের আর এক ডেপুটি গভর্নর এন এস বিশ্বনাথন বলেন, আর্ন্তজাতিক মাপকাঠির সঙ্গে সাযুজ্য তৈরির নামে ঋণের সঙ্গে তার জন্য তুলে রাখা মূলধনের অনুপাত কমাতে রাজি নন তাঁরা। অনুৎপাদক সম্পদ চিহ্নিত করার জন্য ১২ ফেব্রুয়ারি জারি করা সার্কুলারকেও প্রশংসা করেন তিনি। যা নিয়ে বেশি কড়াকড়িতে আপত্তি আছে কেন্দ্রের।
বস্তুত, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আইনের আগে কখনও ব্যবহার না হওয়া ধারাকে কাজে লাগিয়ে এই আর্থিক বিষয়ক দফতরই শীর্ষ ব্যাঙ্কের উপরে চাপ তৈরির চেষ্টা করছিল। যাতে তারা অনাদায়ি দেনার ভারে দুর্বল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির নতুন ঋণ বিলির উপরে বিধিনিষেধ শিথিল করে।
এ দিকে এই দিনই আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ) আবার জানিয়েছে, মোদী সরকারের সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বিবাদের দিকে নজর রাখছে তারা। শীর্ষ ব্যাঙ্কের স্বাধীনতায় কোনও রকম হস্তক্ষেপের বিরোধী আইএমএফ। প্রতিষ্ঠানটির মুখপাত্র গ্যারি রাইস ওয়াশিংটনে বলেন, ‘‘আমরা দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতায় মধ্যে সুস্পষ্ট বিভাজনের পক্ষে। আন্তর্জাতিক প্রথা হল, কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ও আর্থিক ক্ষেত্রের নজরদারের স্বাধীনতায় সরকার বা শিল্পের কোনও রকম হস্তক্ষেপ না করা।’’
শর্ত শিথিল: ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা এনবিএফসির নগদ সমস্যা সমাধানের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে চাপ দিচ্ছিল কেন্দ্র। সূত্রের খবর, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তা কিছুটা মেনে এনবিএফসিগুলিকে সুরাহা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কগুলিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy