পরের সপ্তাহের বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি পেশ হবে অন্তর্বর্তী বাজেট বা ভোট অন অ্যাকাউন্ট। তাকে ঘিরে এক নজিরের মুখে দাঁড়িয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এটা তাঁর টানা ষষ্ঠ বাজেট। যার হাত ধরে তিনি ছাপিয়ে যাবেন অরুণ জেটলি, মনমোহন সিংহ, পি চিদম্বরম, যশবন্ত সিন্হার মতো প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীদের। যাঁরা টানা পাঁচটি বাজেট পেশ করেছিলেন। নির্মলা ঠাঁই পাবেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মোরারজি দেশাইয়ের পাশে। দু’দফায় অর্থমন্ত্রী থাকার সময়ে মোট ১০টি বাজেট পেশ করেছিলেন দেশাই। এর মধ্যে ১৯৫৯ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত টানা ছ’বার। যেগুলির পাঁচটি ছিল পূর্ণাঙ্গ বাজেট এবং একটি অন্তর্বর্তী বাজেট।
অন্তর্বর্তী বাজেট উপলক্ষে ইতিমধ্যেই গত বুধবার রাজধানীতে নর্থব্লকে অর্থ মন্ত্রকের দফতরে হয়েছে হালুয়া উৎসব। নিয়ম অনুসারে, মন্ত্রকের কর্তা এবং বাজেট তৈরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের মধ্যে হালুয়া বিতরণের পরেই মন্ত্রকের ভূগর্ভের প্রিন্টিং প্রেসে শুরু হয় বাজেট বই ছাপার কাজ। এর পরে বাজেট পেশ না হওয়া পর্যন্ত বাইরের জগতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না তাঁরা। থাকতে হয় মন্ত্রকের নির্দিষ্ট ঘরেই। তবে গত কয়েক বছরের মতো এ বারও বৈদ্যুতিন মাধ্যমে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী। যা পাওয়া যাবে সংশ্লিষ্ট মোবাইল অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে। ফলে ‘মন্ত্রকে থাকার’ সময়ও আগের থেকে কমেছে অনেকটাই।
প্রসঙ্গত, সাধারণত ভোটের আগে মসনদে থাকা সরকার অন্তর্বর্তী বাজেটে শুধুমাত্র বিভিন্ন খাতে ব্যয় বরাদ্দই ঘোষণা করে। যাতে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসা পর্যন্ত কেন্দ্রের কোনও কাজ না আটকায়। তবে প্রথা ভেঙে কোনও কোনও ক্ষেত্রে মানুষকে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া বা ভোটের আগে সাধারণের জন্য বিভিন্ন সুবিধা ঘোষণার দেখাও মেলে। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন বাড়ানো বা কৃষকদেরকে নগদ দেওয়ার ঘোষণার মাধ্যমে ঠিক যেমনটা হয়েছিল গত অন্তর্বর্তী বাজেটে।
এ বছর অবশ্য ‘চোখ ধাঁধানো’ কোনও ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা অবশ্য আগেই উড়িয়ে দিয়েছেন নির্মলা। জানিয়েছেন, নির্বাচনের আবহে ভোট অন অ্যাকাউন্টের সময়ে বিশাল কোনও ঘোষণা হয় না। অপেক্ষা করতে হবে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে জুলাইয়ের পূর্ণাঙ্গ বাজেটের জন্য। তা সত্ত্বেও গত বারের মতো কোনও ঘোষণা হয় কি না, সে দিকেই চোখ সকলের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)