ফরাক্কার এনটিপিসি-র পরে এ বার জলসঙ্কটে পড়ছে সিইএসসি-র বজবজ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। এনটিপিসি অবশ্য জল পাচ্ছিল না বলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছিল। সিইএসসি-র ক্ষেত্রে তা হয়নি। হুগলি নদীর জলে হঠাৎ লবণের পরিমাণ বেশি হওয়ায় তাদের এখন কলকাতা পুরসভার মিষ্টি জলের উপর অনেকটাই নির্ভর করতে হচ্ছে। আপাতত সেই জলেই বজবজে উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা হয়েছে।
কেন বজবজ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে এই সমস্যা? সিইএসসি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বজবজে বয়লার চালানোর জন্য হুগলি নদীর যে-জায়গা থেকে জল নেওয়া হয়, সম্প্রতি পরীক্ষা করে দেখা যায়, তাতে লবণের পরিমাণ অনেকটাই বেশি। আর ওই ধরনের জল ব্যবহার করলে বয়লারের ক্ষতি হতে পারে বলেই মিষ্টি জলের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার থেকে তারা কলকাতা পুরসভা ও কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছ থেকে জল নিচ্ছে। তা নদীর জলের সঙ্গে মিশিয়েই বজবজের বয়লার চালানো হচ্ছে বলে সংস্থার দাবি। কারণ জলে দ্রবীভূত লবণ থিতিয়ে যেতে শুরু করলে বয়লার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কলকাতা পুরসভার কাছে প্রতিদিন ৫০-৬০ গাড়ি জল চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, গঙ্গার জলতল হঠাৎ নেমে যাওয়ােতই এই সমস্যা।
বজবজে সিইএসসি-র ২৫০ মেগাওয়াট করে ৩টি ইউনিট রয়েছে। সংস্থার মোট উৎপাদন ক্ষমতার একটা বড় অংশ আসে বজবজ থেকে। ফলে জলের মান নিয়ে হঠাৎ সমস্যা দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েন কর্তৃপক্ষ। তবে আপাতত সে সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে বলে সিইএসসি-র দাবি। এক কর্তা বলেন, ‘‘বজবজে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনও সমস্যা নেই।’’ কলকাতা পুরসভা জানিয়েছে, সোমবার সিইএসসি মিষ্টি জল চেয়ে চিঠি দেয়। সমস্যার কথা জেনে তারাও জল পাঠাতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার ৩২ গাড়ি জল পাঠানো হয়েছে বলে পুরসভার দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy