ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় আবাসন আইন তৈরি হওয়ার প্রায় এক বছর পরে এ বার ওই বিষয়ে নিজস্ব আইন আনতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। ফ্ল্যাট-বাড়ির ক্রেতাদের স্বার্থরক্ষায় আসছে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল হাউসিং ইন্ডাস্ট্রি রেগুলেশন অ্যাক্ট-২০১৭’। বুধবার বিধানসভায় পাশ হল সেই সংক্রান্ত বিলও।
আইনটির লক্ষ্য, ফ্ল্যাট-বাড়ি কেনা-বেচায় স্বচ্ছতা। তা সে কোনও প্রকল্পের টাকা সেই প্রকল্পেই খরচের নিশ্চয়তা হোক বা ‘কার্পেট এরিয়া’ ধরে ফ্ল্যাটের দাম জানার সুবিধা। বিধানসভায় বিলটি পেশ করে আবাসনমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘অসাধু প্রোমোটারদের রুখতেই এই উদ্যোগ।’’ বিরোধীরা-সহ অনেকেই অবশ্য বলছেন, কেন্দ্র এই আইন আগেই তৈরি করেছে। দেশের অধিকাংশ রাজ্যেও তা তৈরি হয়েছে। সে দিক থেকে রাজ্য এ বিষয়ে দেরি করেছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
এই আইন তৈরির ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা ছিল এ বছরের ১মে। গত মাসে কেন্দ্র রাজ্যকে এ নিয়ে তাগাদা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, অবিলম্বে ‘রিয়েল এস্টেট রেগুলেটরি অথরিটি’ তৈরি করতে বলে মুখ্য সচিবকে চিঠিও দিয়েছে আবাসন মন্ত্রক। তাই আইনটি দ্রুত তৈরির জন্য রাজ্যের উপর চাপ বাড়ছিল।
তবে দেরিতে হলেও এই আইন যে তৈরি হচ্ছে, তাতে স্বস্তি জানিয়েছে নির্মাণ শিল্প। ক্রেডাইয়ের দাবি, রাজ্য আইন নিয়ে ধোঁয়াশা না-কাটলে নতুন প্রকল্পের পরিকল্পনা সম্ভব নয়। কারণ, কেন্দ্রীয় আইন দিশা দেখালেও, চূড়ান্ত নিয়ম-কানুন তৈরির দায় রাজ্যেরই।
ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে অন্যতম বড় মাথাব্যথা তার মাপ বোঝা। কারণ, মাপ ও তার ভিত্তিতে দামের হিসেব করতে গেলেই ‘বিল্ট আপ’, ‘সুপার বিল্ট আপ’ এরিয়ার কথা বলেন প্রোমোটাররা। তার থেকে কত বাদ গেলে কার্পেট এরিয়া পাওয়া যাবে, তার একটা হিসেব তাঁরা দেন। কিন্তু তা কতটা ঠিক, সেটি যাচাই করা শক্ত। আবাসনমন্ত্রীর দাবি, নতুন আইনের হাত ধরে এই সমস্যার সমাধান হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy