—প্রতীকী ছবি।
সংসারের খরচ থেকে বাঁচিয়ে সঞ্চয়, মহিলাদের সহজাত অভ্যাস। খাওয়ার জন্য এক কৌটো চাল নিলে এক মুঠো সরিয়ে রাখার পাঠ সন্তানেরা বরাবর পেয়ে আসে তাদের মা-ঠাকুমার কাছ থেকে। কিন্তু অতীতের বহু পরিসংখ্যান দেখিয়েছে, মহিলারা যে হারে আর্থিক ভাবে স্বাধীন হচ্ছেন সেই হারে লগ্নিকারী হয়ে উঠছেন না। কম হোক বা বেশি, একাংশ আয় করছেন বটে। তবে নিয়মিত বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে ভবিষ্যতের পুঁজি গড়ার ক্ষেত্রে বহু যোজন পিছিয়ে। এ বছর নারী দিবসের প্রাক্কালে সম্পদ পরিচালনাকারী আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা ফিনএজ-এর রিপোর্টে দাবি, ছবিটা বদলাচ্ছে অতিমারির পরে। সমীক্ষায় স্পষ্ট, মহিলাদের লগ্নির ঝোঁক বেড়েছে। এ সংক্রান্ত সচেতনতাও বাড়ছে। শুধু ব্যাঙ্ক-ডাকঘরে নিশ্চিন্তির সঞ্চয় চাইছেন না অনেকে। বরং শেয়ার বাজার, মিউচুয়াল ফান্ডের মতো ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ দ্রুত উঠে আসছে পছন্দের তালিকায়।
কোভিড হানার পর থেকে চার বছর ধরে মহিলাদের লগ্নি-প্রবণতা নিয়ে যে সমীক্ষা চালিয়েছে ফিনএজ, সেটির রিপোর্ট তারা প্রকাশ করেছে বৃহস্পতিবার, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আগের দিন। সংস্থার সিইও হর্ষ গেহলত বলেন, “দেখলাম, মহিলাদের লগ্নির ঝোঁক তো বেড়েইছে। তাঁরা দক্ষ হাতে তা সামলাতেও পারছেন। অনেকেই নানা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করছেন রীতিমতো লক্ষ্য বেঁধে। কেন করছেন জেনে।’’ হর্ষের দাবি, নিজেদের ভবিষ্যৎ আর্থিক ভাবে সুরক্ষিত করা সেই লক্ষ্যের অন্যতম একটি। তবে ছেলেমেয়ের পড়াশোনা, বিয়ের মতো পরিকল্পনাও রয়েছে বড় অংশের। কী ভাবে এবং কোথায় লগ্নি করতে হবে, সে ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন তাঁরা।
রিপোর্টে প্রকাশ, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৪৪% মহিলা অবসরের পরে আয়ের রাস্তা তৈরি করতে লগ্নি করছেন। ৩৫% সন্তানের উচ্চশিক্ষার খরচের সংস্থান করতে চান। ২৭ শতাংশের লক্ষ্য মেয়ের বিয়ের খরচ জোগাড়। লক্ষ্য অনুসারে বিনিয়োগের মেয়াদও বেঁধে নিচ্ছেন তাঁরা। ৩৯.৩% মহিলা প্রক্রিয়াটা শুরু করেছেন ২০ বছর বয়স থেকে। ৪১% করছেন ৩০ বছরে এসে।
কী ভাবে এবং কোথায় লগ্নি করবেন, সে ব্যাপারে পরিকল্পনা মাফিক এগোনোর ক্ষেত্রে বেশ উন্নতি হয়েছে। সমীক্ষা বলছে, শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড বিশেষ পছন্দ মহিলাদের। ফান্ডে এসআইপি করার পথে হাঁটছেন বড় অংশ। এসআইপিতে পুরুষদের গড়ে প্রতি মাসে লগ্নি ৩৯৯২ টাকা। মহিলাদের ৪৪৮৩ টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy