Advertisement
০১ মে ২০২৪
আতস কাচের নীচে পরিকল্পনার খুঁটিনাটি

রাজ্যে ব্যবসা বৃদ্ধির সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে মেট্রো

এ দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথা সম্প্রতি জানিয়েছে মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি। আর জার্মান বহুজাতিকটির এই পরিকল্পনার দৌলতে নতুন বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। কলকাতায় এখন একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সরবরাহ কেন্দ্র রয়েছে মেট্রোর।

গার্গী গুহঠাকুরতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৪ ০২:২৪
Share: Save:

এ দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণের পরিকল্পনার কথা সম্প্রতি জানিয়েছে মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারি। আর জার্মান বহুজাতিকটির এই পরিকল্পনার দৌলতে নতুন বিনিয়োগ আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও।

কলকাতায় এখন একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সরবরাহ কেন্দ্র রয়েছে মেট্রোর। সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, তার সঙ্গে আরও দু’টি কেন্দ্র তৈরির ভাবনাচিন্তা আগেই শুরু করেছিল সংস্থা। সেই অনুযায়ী জমি দেখার কাজও শুরু হয়েছিল। একটি কেন্দ্রের জন্য দিল্লি রোডের কাছে জমি চিহ্নিত হয়। অন্যটির জন্য উত্তর চব্বিশ পরগণায় জমি দেখে সংস্থা। তবে খুচরো ব্যবসা নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরূপ মনোভাবের কারণে তখন পরিকল্পনা পিছিয়ে দেয় তারা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, মেট্রো এক ছাদের তলায় বহু ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রি করে ঠিকই। কিন্তু তা পাইকারি (হোলসেল) হিসেবে। খুচরো (রিটেল) ব্যবসার মডেলে নয়। ফলে রাজ্য সরকারেরও এ ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা থাকার কথা নয়। আর এ কথা মাথায় রেখেই তাদের ব্যবসা-সম্প্রসারণ মানচিত্রে জায়গা পেতে পারে রাজ্য।

তবে সম্প্রসারণ পরিকল্পনা সম্পর্কে এখনই বিশদে জানাতে রাজি নয় সংস্থা। জার্মানিতে সংস্থার সদর দফতরে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তাকে ই-মেল করা হয়। উত্তরে মেল মারফতই সংস্থার মুখপাত্র জানান, কলকাতায় কেন্দ্রের ব্যবসায়িক সাফল্য ও পরিচিতি রয়েছে। এ রাজ্যে সম্প্রসারণের সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিচার করা হচ্ছে পরিকল্পনার খুঁটিনাটি।

সম্প্রতি এক বিবৃতিতে ২৯টি দেশে ছড়িয়ে থাকা মেট্রো জানায়, আগামী ছ’বছরে ভারতে বিপণির সংখ্যা এক লাফে তিন গুণের বেশি বাড়াতে আগ্রহী তারা। সংস্থার প্রধান ওলাফ ককের দাবি, ভারতে লাগাতার ব্যবসা বেড়েছে। এ বার সেই বৃদ্ধিতে গতি আনতেই ময়দানে নামছে তারা।

উল্লেখ্য, ভারতে ২০০৩ সালে পা রেখেছিল মেট্রো। বেঙ্গালুরুতে পাইকারি ব্যবসা শুরু করে ক্রমশ মুম্বই, হায়দরাবাদ, কলকাতা-সহ বিভিন্ন শহরে স্বয়ংসম্পূর্ণ সরবরাহ কেন্দ্র গড়েছে তারা। এখন এ দেশে ১৬টি কেন্দ্র রয়েছে। সংস্থার দাবি, ২০২০ সালের মধ্যে এখানে ৫০টি পাইকারি কেন্দ্র চালু হবে।

মেট্রোর এই ঘোষণাকে তাত্‌পর্যপূর্ণ বলে মনে করেন অনেকে। কারণ, দীর্ঘ দিন ভারতীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে ব্যবসা করার পরও এখনও পর্যন্ত এ দেশের বাজারে তেমন ভাবে পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে পারেনি বিশ্বের বৃহত্তম রিটেল বহুজাতিক ওয়ালমার্ট। সম্প্রতি ভারতে তেমন সুবিধা করতে না-পারার কথা কবুল করেছে আর এক রিটেল বহুজাতিক ক্যারেফোরও। তাই এই পরিস্থিতিতে এ দেশে মেট্রোর ব্যবসা বৃদ্ধির পরিকল্পনা নজর কেড়েছে অনেকেরই। সংশ্লিষ্ট মহলের অনেকে মনে করছেন, বহু ব্র্যান্ডের খুচরো ব্যবসা (মাল্টি ব্র্যান্ড রিটেল) নিয়ে রাজনৈতিক ছুতমার্গ সংগঠিত পাইকারি ব্যবসার তুলনায় অনেক বেশি। ফলে দীর্ঘ দিন মাটি কামড়ে পড়ে থাকার পরেও ওয়ালমার্টের মতো সংস্থা যেখানে এখনও তেমন সুবিধা করতে পারছে না, সেখানে ব্যবসা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করছে মেট্রো। আর সেই সূত্রে বিনিয়োগ এলে, রাজ্যেরই লাভ বলে মনে করছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

metro cash and carry bussiness
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE