গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
মা বারণ করেছিল ভিডিয়ো গেম খেলতে। দিনরাত ভিডিয়ো গেমে মত্ত থাকত। সম্প্রতি মোমোর মতো অনলাইন গেমের আতঙ্ক ছড়ানোর পর আরও আশঙ্কিত হয়ে পড়েন সেই কিশোরের মা। আর তাই বার বার ছেলেকে মোবাইলে গেম খেলতে না করতেন তিনি। সেই অভিমানেই গলায় বিছানার চাদরের ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল ১৫ বছরের কিশোর।
পুলিশ সূত্রে খবর, বালিগঞ্জে সেনা আবাসনের ছ’তলায় ফ্ল্যাট সেনা কর্মী মনোজ কুমারের। বর্তমানে তিনি অরুণাচল প্রদেশে কর্মরত। কলকাতার কোয়ার্টার্সে থাকেন তাঁর স্ত্রী পুনিতা দেবী এবং দুই কিশোর ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে দুটো নাগাদ শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য ঘুম থেকে ওঠে মনোজ-পুনিতার ছোট ছেলে। ওই ঘরেই ভাইয়ের সঙ্গে শুয়েছিল তার দাদা মায়াঙ্ক। উঠেই সে দেখে ঘরের মধ্যে দাদার ঝুলন্ত দেহ।
পায়ের তলায় তখনও একটা টুল রয়েছে। সিলিংয়ে একটি পাখার হুক থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া। সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠে ভাই। ঘুম ভাঙে পুনিতারও। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। মায়াঙ্ককে ফাঁস মুক্ত করে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুরের কমান্ড হাসপাতালে। সেখানে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: হরিয়ানায় গণধর্ষণের শিকার সিবিএসই-তে প্রথম হওয়া ছাত্রী
খবর দেওয়া হয় বালিগঞ্জ থানাতে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করতে গিয়েই উঠে আসে ভিডিয়ো গেম নিয়ে মায়াঙ্কের আসক্তির কথা। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীদের অনুমান, ওই ভিডিয়ো গেম খেলা নিয়ে মায়ের সঙ্গে বচসার জেরেই আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোর।
আরও পড়ুন: মহিলা ভক্ত ও তাঁর নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ! শ্রীঘরে ‘বাবা আশু মহারাজ’
মায়াঙ্ক বালিগঞ্জের আবাসনের মধ্যেই অবস্থিত কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। গত বার সে বাৎসরিক পরীক্ষায় অসফল হয়। ক’দিন আগেই তাদের হাফ-ইয়ার্লি পরীক্ষা শুরু হয়। শুক্রবার মায়াঙ্কের অঙ্ক পরীক্ষা ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy