পূজা মহাজন
প্রাক্তন প্রেমিকাকে খুনের জন্য মাস তিনেক ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে সে। গুলির নিশানা থেকে যাতে কোনও ভাবেই না বাঁচতে পারেন তরুণী, তাই ইন্টারনেট খুলে করেছে পড়াশোনা। সোনারপুরের গুলিকাণ্ডে ধৃত সৌমেন কয়ালকে জেরার পরে এমনই তথ্য মিলেছে বলে দাবি পুলিশের।
মঙ্গলবার সোনারপুর থানার ঘোষপাড়ায় পূজা মহাজন (২১) নামে ওই তরুণীকে গুলি করে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক সৌমেন কয়াল। ঘটনার সময়ে সঙ্গে ছিল সৌমেনের বন্ধু সুকুমার দে। পরদিন মৃত্যু হয় পূজার। ঘটনার রাতেই সৌমেন গ্রেফতার হয়। পরে ধরা পড়ে সুকুমার। অভিযুক্তকে জেরা করে তদন্তকারীদের বক্তব্য, ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে সে। পুলিশ জেনেছে, ঘটনার দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়িতেই ছিল সৌমেন। মাকে রান্নায় সাহায্যও করেছিল। তার পরে পূজার বাড়ি ফেরার সময় হলে ঘোষপাড়ায় হাজির হয় সে।
তদন্তকারীরা জেনেছেন, অক্টোবরে পূজা আর সৌমেনের সম্পর্ক ভেঙে যায়। পূজাকে বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেও কাজ না হওয়ায় তাঁকে খুন করবে বলে মনস্থির করে সৌমেন। প্রথমে সোনারপুরের এক দুষ্কৃতীর সঙ্গে পিস্তল কেনার জন্য যোগাযোগ করে। ইতিমধ্যে ইন্টারনেট দেখে পিস্তল চালানো রপ্ত করে ফেলে সে। ‘পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ’ থেকে গুলি করতে ওয়ান-শটারের যে জুড়ি নেই, তাও জেনে নিয়েছিল সৌমেন। তদন্তকারীদের বক্তব্য, সৌমেন পেশাদার খুনি না হলেও নিখুঁত ভাবে পূজার মাথায় গুলি চালিয়েছিল।
শরীরের কোন জায়গায় গুলি চালালে মৃত্যু নিশ্চিত, তা নিয়েও সৌমেন গবেষণা করেছিল বলে জানায় পুলিশ। মাথার পিছনে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রে গুলি করা হলে মৃত্যু একেবারে নিশ্চিত, বই ঘেঁটে তা জেনে ফেলেছিল পেশায় ফিজিয়োথেরাপিস্ট সৌমেন। পুলিশ জেনেছে, ঘটনার দিনও তার কাছে ফিরে আসতে বলে পূজাকে। এক দফা ঝগড়া হয়। এর পরেই তরুণীর চুলের মুঠি ধরে, ঠিক মাথার পিছনে গুলি চালায় সে। মোটরবাইকে উঠে বন্ধুকে বলে, ‘এমন জায়গায় গুলি চালিয়েছি, ভগবান চাইলেও বাঁচাতে পারবে না।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy