শহর জুড়ে কড়া নিরাপত্তা থাকবে কালীপুজোয়।—নিজস্ব চিত্র।
রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন এক বৃদ্ধ। আচমকা ফুলকি সুদ্ধ তাঁর মাথায় এসে পড়ল বাজির খোল। মাথা থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকল ওই বৃদ্ধের।
শুধু ওই বৃদ্ধই নন। কালীপুজো বা দীপাবলির রাতে এমন বিপদ হয়েছে অনেকেরই। আবাসন বা বাড়ির ছাদে ফাটানো বাজি থেকে আগুনের ফুলকি ছিটকে পড়ে রাস্তায়। তাতে বিপদে পড়ছেন পথচলতি মানুষ। এই বিপদ আটকাতে কয়েক বছর ধরে সল্টলেক, নিউ টাউন-সহ বিধাননগর কমিশনারেটের বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ-প্রশাসন সচেতনতা প্রসারের পাশাপাশি কড়া পদক্ষেপ করছে। এ বারও তার ব্যতিক্রম নয়। পুলিশ জানিয়েছে, নিষিদ্ধ শব্দবাজির প্রবেশ ঠেকাতে অভিযান চলছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে কয়েকশো কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি। গ্রেফতার একাধিক।
বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, শব্দবাজির দৌরাত্ম্যে সবচেয়ে যন্ত্রণায় পড়েন বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা। সল্টলেকের এক বাসিন্দা প্রীতিকুমার সেন বলেন, ‘‘বাজিই হোক বা সাউন্ড বক্স, শব্দে আমাদের খুব কষ্ট হয়। আনন্দ-অনুষ্ঠান হোক। তবে তা যেন অন্যের ক্ষতি না করে।’’ সল্টলেক ও নিউ টাউনে বহু পার্ক, মাঠ এবং ফাঁকা জায়গা রয়েছে। পুলিশের আবেদন, বাসিন্দারা একত্রিত হয়ে সেখানে বাজি ফাটান। পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করে এ ব্যাপারে বার্তা দিয়েছে তারা। পুলিশ জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট সময়ের পরে বাজি ফাটানো বন্ধ করতে কড়া নজরদারি চালানো হবে। বাড়তি নজরদারি চলবে
আবাসন এলাকাগুলিতে।
সল্টলেকের একটি পুজো কমিটির উদ্যোক্তা সৌমিত্র মুখোপাধ্যায় জানান, তাঁদের তরফেও সচেতনতার প্রচার চালানো হয়েছে। বাসিন্দাদের একটি সংগঠনের কর্তা কুমারশঙ্কর সাধুর কথায়, ‘‘শুধু পুলিশ-প্রশাসনের উপরে দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে হবে না। আমাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy