Advertisement
০৯ মে ২০২৪
New Town

মাস্ক তৈরি করা শিখছেন নিউ টাউনের বাসিন্দারা

সচেতনতামূলক আলোচনাসভায় সেই মাস্ক বাসিন্দারা তুলে দিলেন হিডকো কর্তাদের হাতে।

ছবি রয়টার্স।

ছবি রয়টার্স।

কাজল গুপ্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২০ ০৩:৫৮
Share: Save:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাস্ক ব্যবহারের কথা বলা হচ্ছে। অথচ ইতিমধ্যেই বাজারে মাস্ক এবং স্যানিটাইজ়ারের আকাল তৈরি হয়েছে বলে খবর। এমন পরিস্থিতিতে নিউ টাউনের বাসিন্দারা যেন খানিকটা স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁদের কেউ কেউ মাস্ক তৈরি করা শিখেও ফেলেছেন। রবিবার নিউ টাউনে করোনা নিয়ে একটি

সচেতনতামূলক আলোচনাসভায় সেই মাস্ক বাসিন্দারা তুলে দিলেন হিডকো কর্তাদের হাতে। পরে সেগুলি বাসিন্দাদের মধ্যেই বিলি করে দেওয়া হয়। যদিও এই পরিস্থিতিতে এমন মাস্ক কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। করোনার মোকাবিলায় এই মাস্কের গুণমান নিয়েও সংশয় প্রকাশ করছেন অনেকেই।

নিউ টাউন কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি (এনকেডিএ) বাসিন্দাদের দিয়ে এই মাস্ক তৈরিতে উদ্যোগী হয়। সূত্রের খবর, দিন কয়েক ধরে নিউ টাউনের আবাসিক এলাকায় মাস্ক তৈরির উপকরণ সরবরাহ করেছিল এনকেডিএ। কী ভাবে মাস্ক তৈরি করতে হয় তা-ও বাসিন্দাদের শেখানো হয়েছিল। রবিবার হিডকোর উদ্যোগে নিউ টাউনের বিশ্ববঙ্গ কনভেনশন সেন্টারে করোনা নিয়ে সচেতনতা শিবির হয়। সেখানে হিডকো এবং এনকেডিএ-র কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাসিন্দারা হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেনের হাতে ওই মাস্ক তুলে দেন।

নিউ টাউনের বাসিন্দাদের একটি সংগঠনের এক কর্মকর্তা সমীর গুপ্তের কথায়, ‘‘কয়েক জন বাসিন্দাকে দিয়ে নয়, সংগঠিত আকারে এমন উদ্যোগ আরও বেশি করে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। অবশ্যই এই উদ্যোগকে স্বাগত।’’ তবে বাসিন্দারা জানান, মাস্ক তৈরির সঠিক উপকরণ প্রশাসন সরবরাহ করতে পারলে, এবং মাস্ক তৈরির কৌশল জানালে, অনেকে নিজের প্রয়োজনেই ওই কাজ শিখবেন।

করোনার পরিস্থিতি আগামী দিনে কোন দিকে এগোবে তা এখনই পরিষ্কার নয়। আপাতত এ ভাবেই মানুষকে মোকাবিলার পাঠ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে বলে এনকেডিএ-র তরফে জানানো হচ্ছে। এ দিনের সচেতনতা শিবিরে ওই ভাইরাস থেকে কী কী সমস্যা হতে পারে, তার প্রতিরোধে কী কী পদক্ষেপ করতে হবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানান জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা।

আধিকারিকেরা জানান, সচেতনতার প্রচারই শুধু নয়, সার্বিক ভাবে করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে বাসিন্দাদের যুক্ত করা হয়েছে। তবে লাগাতার ভাবেই বাসিন্দাদের মাস্ক তৈরি শেখানো হবে কি না, তা অবশ্য স্পষ্ট করা হয়নি। বাসিন্দাদের মধ্যে বিলি করার পরে বাকি মাস্ক নিউ টাউন মেডিক্যাল সেন্টারে রাখা হবে বলে এনকেডিএ জানিয়েছে।

নিউ টাউন মেডিক্যাল সেন্টারে প্রতিদিন গড়ে ৩০-৪০ জন রোগী আসেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, যাঁরা জ্বর-সর্দি-কাশির সংক্রমণ নিয়ে চিকিৎসার জন্য সেখানে যাবেন, তাঁদের একটি আলাদা ঘরে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। ইতিমধ্যে নিউ টাউনে বিজনেস ক্লাব, সুইমিং পুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

New Town Coronavirus Mask
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE