যাচাই: বালির বস্তা রেখে স্কাইওয়াকের ভার বহন ক্ষমতা পরীক্ষা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।
কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। বাকি কেবল রূপটান। তার আগে রবিবার দক্ষিণেশ্বরের নির্মীয়মাণ স্কাইওয়াকের ‘লোড টেস্ট’ শুরু হল। ইঞ্জিনিয়ারেরা বলছেন, এটাই সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আকাশপথে হাঁটার ওই রাস্তা কতটা ভার বইতে পারবে, তা যাচাই করা হচ্ছে এখন। পুরো প্রক্রিয়া শেষ হতে দিন দশেক বা তারও কিছু বেশি সময় লাগবে। তার পরে সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ নজরদার সংস্থা ‘রাইটস’।
কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, পুজোর আগে কি চালু হবে বহু প্রতীক্ষিত স্কাইওয়াক? এর অবশ্য কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি। কেএমডিএ-র তরফে জানানো হয়েছে, রাইটস-এর থেকে ফিট সার্টিফিকেট মিললে তবেই আকাশপথে হাঁটার রাস্তা খুলে দেওয়া হবে। তার জন্য সময় লাগতে পারে। সে ক্ষেত্রে পুজো পার হয়ে যেতে পারে। তবে কালীপুজোর আগে চালু করা হবেই বলে নিশ্চিত কেএমডিএ। এর আগে বেশ কয়েক বার কাজ শেষ করার সময়সীমা পার হয়ে গিয়েছে। ফলে নির্মাণকারী সংস্থার উপরে চাপ বাড়ছে।
২০১৫-সালের মার্চ মাসে দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার পরে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ঢোকার মূল রাস্তা রানি রাসমণি রোডের দু’ধারের দোকান সরানোর ক্ষেত্রে তৈরি হয় আইনি জটিলতা। প্রায় এক বছর ধরে রাজ্য প্রশাসন ও দোকানদারদের মধ্যে চাপানউতোর চলার পরে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু হয়। স্কাইওয়াক তৈরিতে গুণগত মান নিয়ে কোনও আপস করতে চায়নি সরকার। সে কারণেই স্কাইওয়াকের প্রতিটি নকশা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা রাইটসকে দিয়ে অনুমোদন করানো হয়েছিল।
এই পিনের সাহায্যে ২৪ ঘণ্টা স্কাইওয়াকের ভার মাপা হচ্ছে।
দক্ষিণেশ্বর রেল স্টেশনের সামনে থেকে শুরু হয়ে রানি রাসমণি রোড ধরে মন্দিরের সিংহদুয়ার পর্যন্ত গিয়েছে ৩৭০ মিটার লম্বা এবং ৯.৭ মিটার চওড়া স্কাইওয়াক। নির্মাণকারী সংস্থা জানিয়েছে, গম্বুজাকৃতি কাঠামোয় পলিকার্বন শিট লাগানোর কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। লিফট এবং তিনটি চলমান সিঁড়ি বসানোর কাজও শেষ। ডালার দোকানের কাজ শেষ পর্যায়ে।
কেএমডিএ-র এক কর্তা জানান, আকাশপথের উপরে বালির বস্তা দিয়ে ভার বহন ক্ষমতা পরীক্ষা করা হচ্ছে। রাস্তার চারটি জায়গাকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই চারটি জায়গায় ভার বহন ক্ষমতা দেখা হবে।
রাস্তার উপরে বালির বস্তা রেখে নীচে এক ধরনের বিশেষ পিন দিয়ে যন্ত্রের সাহায্যে ২৪ ঘণ্টা ভার মাপা হচ্ছে। তা শেষ হলে সেই রিপোর্ট রাইটস-এর কাছে পাঠানো হবে। তারা সেই রিপোর্ট বিশ্লেষণ করে দেখবে। তার পরে তাদের যদি কোনও পরামর্শ থাকে তা কার্যকর করা হবে। এর পরে রাইটস স্কাইওয়াক পরিদর্শন করে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে। কেএমডিএ-র ওই কর্তা বলেন, ‘‘পুজোর আগে চালু করাটা বড় ব্যাপার নয়। পথকে নিরাপদ করাটাই বড় ব্যাপার। সেই জন্যই সময় লাগছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy