Advertisement
১১ মে ২০২৪

মণ্ডপে আগুন ঠেকাতে জলের ড্রাম বহুতলে

দুর্গাপুজো দরজায় কড়া নাড়ছে। উৎসবের দিনগুলিতে তাই সব দিক থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে লড়তে প্রস্তুতি নিচ্ছে দমকলও।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

মেহবুব কাদের চৌধুরী
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:২৮
Share: Save:

কলকাতা শহরে এখন বহুতলের আধিক্য। অগ্নি-নির্বাপণের প্রথম ধাপ হিসেবে আপাতত সেই বহুতলের ছাদকেই কাজে লাগাতে চাইছে দমকল। তাদের প্রস্তাব, দুর্গাপুজোর সময়ে মণ্ডপের লাগোয়া ওই বাড়িগুলির ছাদে বড় বড় ড্রামে জল ভরে রাখুন বাসিন্দারা। যাতে মণ্ডপে অগ্নিকাণ্ড ঘটলে প্রাথমিক ভাবে বহুতলের ছাদ থেকেই আগুনে জল দেওয়ার কাজ দ্রুততার সঙ্গে শুরু করা যায়।

দুর্গাপুজো দরজায় কড়া নাড়ছে। উৎসবের দিনগুলিতে তাই সব দিক থেকেই অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে লড়তে প্রস্তুতি নিচ্ছে দমকলও। এর পরেই আসবে বাজির উৎসব কালীপুজো। বাজির আগুনে প্রতি বারই মণ্ডপে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। দমকল মনে করছে, মণ্ডপের আশপাশের বহুতল বাড়িগুলির ছাদে জলের জোগান থাকলে আগুনে নেভানোর প্রাথমিক কাজ সহজে শুরু করা যাবে।

দিন কয়েক আগে শহরের পুজো কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠকে পুজোর ক’দিন পর্যাপ্ত বালি মণ্ডপে মজুত রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। বৃষ্টি থেকে পুজো মণ্ডপকে বাঁচানোর পাশাপাশি অগ্নিনিরোধক ব্যবস্থা হিসেবে শুকনো বালি মজুত রাখার পরামর্শ দিচ্ছে দমকলও। রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু বলেন, ‘‘শুকনো বালি, আঁকশি, প্রাথমিক অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র পুজো মণ্ডপে রাখা আবশ্যিক করা হচ্ছে।’’

মণ্ডপগুলিতে অগ্নিনির্বাপণ বিধি মানা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে চলতি সপ্তাহ থেকে মণ্ডপ পরিদর্শন করবেন দমকলমন্ত্রী-সহ ডিজি ও আধিকারিকেরা। দমকল দফতর সূত্রের খবর, পুজোর দিনগুলিতে টালিগঞ্জ, নিউ আলিপুর, গড়িয়াহাট, কসবা, তিলজলা, তপসিয়া, গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ থানার মধ্যেই দমকলের দু’টি করে গাড়ি মজুত রাখা হবে। দমকলের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ওই সব এলাকায় আগুন লাগলে পুজোর ভিড়ে অপেক্ষাকৃত দূরের দমকলকেন্দ্র থেকে গাড়ি পৌঁছতে দেরি হবে। বিপর্যয় এড়াতেই ওই সব থানায় দমকলের ইঞ্জিন থাকবে।’’ দমকলের ডিজি জগমোহনের কথায়, ‘‘শহর জুড়ে ১৪০ জন কর্মী মোটরবাইক নিয়ে টহল দেবেন। আগুন লাগার খবর পেলেই তাঁরা দমকলের কন্ট্রোলে যোগাযোগ করবেন।’’

দমকল সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে দমকলের কন্ট্রোল রুমের সব সময়ে যোগাযোগ থাকবে। দুর্ঘটনা ঘটলে অতি দ্রুততার সঙ্গে দমকলকে ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করবে পুলিশ। মণ্ডপে নিকটবর্তী অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্রের টেলিফোন নম্বর বড় বড় করে লিখতে রাখতে বলা হয়েছে । দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর কথায়, ‘‘পুজো মণ্ডপে বিদ্যুতের তার, সুইচ উন্নত মানের রাখতে বলা হয়েছে।’’

পুজোর ভোগ রান্নার ঘর মূল মণ্ডপ থেকে অন্তত দু’শো ফুট দূরে টিন দিয়ে ঘিরে রাখতে বলছে দমকল। মণ্ডপে ধূমপান বিরোধী ঘোষণাও করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Fire Brigade Fire Durga Puja 2019
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE