অ্যাড হক ভিত্তিতে জিএসটি-র জটে আটকে থাকা বিল মেটানো যাবে না। এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল পুর প্রশাসন।
শুক্রবার মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার জানান, জিএসটি-র জটে কলকাতা পুরসভার অনেক ঠিকাদারের বিল আটকে রয়েছে। সমস্যা মূলত তাঁদের, যাঁরা গত বছর জুনে কাজের বরাত পেয়েছেন, কিন্তু কাজ শেষ হয়েছে জুলাইয়ের পরে। কারণ তাঁরা দরপত্র দেওয়ার সময়ে জিএসটি চালু ছিল না। ফলে জুলাইয়ের পরে জমা সব বিলেই জিএসটি-র টাকা কেটে নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে।
তাতেই অসুবিধায় পড়ে মেয়রের দ্বারস্থ হন ওই ঠিকাদারেরা। দিন কয়েক আগে মেয়র এক বৈঠক করে জানিয়েও দেন, বিল মেটাতে দেরি হচ্ছে। তাই অ্যাড হক ভিত্তিতে কিছু টাকা অগ্রিম দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এর পরেই রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তেমন কোনও ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। পুরো পরিস্থিতি বিচার করতে দেবব্রতবাবুর সভাপতিত্বে ফের বৈঠক বসে পুরসভায়। বৈঠক শেষে মেয়র পারিষদ বলেন, ‘‘এটা কেন্দ্রীয় সরকারের আইন। জিএসটি দিতেই হবে। অ্যাড হক ভিত্তিতে কিছু টাকা দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই।’’ যদিও তিনি জানান, গত ২৫ জানুয়ারি নতুন একটি বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে যে কাজে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ যন্ত্রাংশ বা সামগ্রী কেনার জন্য, আর বাকিটা শ্রমিকের খরচ মেটাতে খরচ হয়, সেই কাজে জিএসটি পুরো ছাড়। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে বেশ কয়েক জন ঠিকাদার জিএসটির জট থেকে মুক্তি পাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy