সাফাই: বিসর্জনের পরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে খড় ও মাটি। মঙ্গলবার, শিবপুর ঘাটে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
বিসর্জনের পরে হাওড়া শহরের ১৫টি ঘাটকে পরিষ্কার করতে বেসরকারি বিশেষজ্ঞ সংস্থা নিয়োগ করল হাওড়া পুরসভা। বিসর্জনের পরে গঙ্গার ঘাটগুলিতে পড়ে থাকা পুজোর সরঞ্জাম থেকে গঙ্গার দূষণ ঘটানো চলবে না— জাতীয় পরিবেশ আদালতের এই নির্দেশ মেনে সোমবার থেকেই ওই সংস্থা সাফাইয়ের কাজ শুরু করেছে। প্রতিমা বিসর্জনের পরে আবর্জনা সাফাইয়ের জন্য ঘাটগুলিতে রাখা হয়েছে জেসিবি, ডাম্পার ও ক্রেন। বিসর্জনের পরে ঘাট পরিষ্কারের কাজ আগে পুরসভার কর্মীরাই করতেন।
পুরসভা ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দশমীর দিনই শহরের ৭৫ শতাংশ প্রতিমার বিসর্জন হয়ে গিয়েছে। বাকি ক্লাবগুলির প্রতিমা আর দু’দিনের মধ্যেই বিসর্জন হয়ে যাবে। প্রতিবারই বিসর্জনের পরে গঙ্গায় পড়ে থাকা আবর্জনার জেরে গঙ্গা দূষণের অভিযোগ ওঠে। এ বার তাই ঘাট পরিষ্কারের জন্য পেশাদার সংস্থা নিয়োগ করেছে পুরসভা। সোমবার দশমীর পরে মঙ্গলবার একাদশীর দিনে গঙ্গার ঘাট পরিষ্কারের কাজ হয়েছে।
হাওড়া পুরসভা জানিয়েছে, গঙ্গার ঘাটগুলিতে ফুল ও মালা–সহ প্রতিমার নানা সরঞ্জাম পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সাফাইকর্মীরা টোটোয় করে তা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। গঙ্গা ছাড়াও পুরসভার চিহ্নিত পাঁচটি জলাশয়ে ভাসানের আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ হয়। ভাসানের সময়ে জলাশয়গুলির ধারে যাতে কিছু না পড়ে, সে জন্য সেখানে বাঁশ দিয়ে ঘিরে বিশেষ ধরনের ভ্যাট তৈরি করা হয়েছিল। প্রতিমা ভাসানের সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গার ঘাট থেকে ছোট কাঠামোগুলিকে তোলেন পুরসভার নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ সংস্থার কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy