Advertisement
০২ মে ২০২৪

প্রবেশিকা এ বার রাখছে যাদবপুর

প্রবেশিকা হলেও সহ-উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষ জানান, শুধু তার ভিত্তিতে পড়ুয়া ভর্তি নেওয়া হবে না।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৮ ০৬:১৮
Share: Save:

নভেম্বরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, এ বার থেকে কলা বিভাগের প্রতিটি বিষয়ে শুধু নম্বরের ভিত্তিতেই ভর্তি নিতে হবে। তবে বুধবার কর্মসমিতির জরুরি বৈঠকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এ বারের মতো স্নাতক কলা বিভাগে ভর্তির পরীক্ষা বহাল থাকছে। এই ঘোষণার পরে পড়ুয়ারা ধর্না তুলে নেন।

প্রবেশিকা হলেও সহ-উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষ জানান, শুধু তার ভিত্তিতে পড়ুয়া ভর্তি নেওয়া হবে না। ভর্তি হবে প্রবেশিকা এবং দ্বাদশ শ্রেণির নম্বরের ভিত্তিতে। ভর্তি-পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ ৫০% নম্বর। বাকিটা উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল পরীক্ষায় পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর থেকে যোগ হবে। কেন্দ্রীয় ভাবে পরীক্ষা নেবে ভর্তি কমিটি। সংশ্লিষ্ট বিভাগের ভূমিকা থাকবে না। প্রবেশিকার দিনক্ষণ আজ, বৃহস্পতিবার ভর্তি কমিটির বৈঠকে স্থির হবে। সহ-উপাচার্য জানান, পরীক্ষা নিতে ৫-৭ দিনের বেশি দেরি হবে না। ক্লাস শুরু করতেও দেরি করা হবে না। পরে ভর্তি কমিটি কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা আগে কর্মসমিতিকে জানাতে হবে।

প্রবেশিকা এবং দ্বাদশের নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তির সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন কলা বিভাগের ছাত্রদের একাংশ। ফোরাম ফর আর্টস স্টুডেন্টস (ফ্যাস)-এর নেতা শ্রমণ গুহ জানান, তাঁরা আজ, বৃহস্পতিবার ভর্তি কমিটিকে স্মারকলিপি দেবেন।

যাদবপুরে কলা বিভাগে কিছু বিষয়ে ভর্তির পরীক্ষা নিয়ে বারে বারেই আপত্তি তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, প্রেসিডেন্সির প্রবেশিকা পরীক্ষা পরিচালনা করে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড। ভর্তির পরীক্ষা যদি নিতেই হয়, সেই ধরনের কোনও সংস্থাকে ভার দেওয়া হোক। গত বছর যাদবপুরে কলা বিভাগের চারটি বিষয়ে ভর্তির পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। তার সঙ্গে এ বার বাংলা, ইতিহাসেও প্রবেশিকার ভিত্তিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়। সেই অনুযায়ী ভর্তির বিজ্ঞপ্তিও দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। শুরু হয় বিতর্ক। ১৪ জুন কর্মসমিতির বৈঠকে উচ্চশিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি মনোজিৎ মণ্ডল জানান, প্রবেশিকা পরীক্ষার কোনও সংস্থান নেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে।

শিক্ষক সংগঠন জুটা-র সহ-সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় জানান, ভর্তি-পরীক্ষা নেওয়ার আইনি এক্তিয়ার আছে ভর্তি কমিটির। কিন্তু উচ্চশিক্ষা সংসদের প্রতিনিধির দাবিতে বিষয়টি অযথা জটিল হয়েছে।

প্রবেশিকা নিয়ে বিতর্ক মেটাতে অ্যাডভোকেট জেনারেলের পরামর্শ নেন কর্তৃপক্ষ। সেই পরামর্শ অনুযায়ী এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এ বছর কলা বিভাগের ছ’টি বিষয়ে ভর্তির পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ থাকবে মোট ৫০% নম্বর। বাকিটা উচ্চ মাধ্যমিক অথবা সমতুল পরীক্ষায় পড়ুয়ার প্রাপ্ত নম্বর থেকে যোগ হবে। তুলনামূলক সাহিত্য, দর্শন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান এবং ইতিহাসের ক্ষেত্রে ৫০% নম্বর যোগ হবে দ্বাদশে প্রাপ্ত সর্বমোট নম্বরের ভিত্তিতে। বাংলার ক্ষেত্রে বাংলা ও ইংরেজির প্রাপ্ত নম্বরের যোগফল থেকে সেই নম্বর যুক্ত হবে। তবে ইংরেজির ক্ষেত্রে নম্বর যুক্ত হবে শুধু দ্বাদশের ইংরেজির নম্বর থেকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE