শীলা চৌধুরী।- নিজস্ব চিত্র।
২৭ হাজার টাকা ধার নেওয়া নিয়ে অশান্তি। আর সেই অশান্তির জেরেই খুন করা হয় কসবার কেন্দ্রীয় সরকারি অফিসার শীলা চৌধুরীকে। সেই খুনের ঘটনায় শম্ভু কয়াল নামে ওই আবাসনের আঠারো বছরের সাফাই কর্মী এবং তার পনেরো বছরের বন্ধুকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে শম্ভু। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান প্রভীন ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ‘‘জেরায় শম্ভু স্বীকার করেছেন যে ধারের টাকা নিয়ে শনিবার বচসা হয় শীলার সঙ্গে। সেই বচসার জেরেই শীলাকে খুন করেছেন তিনি।’’
তদন্তকারীরা বলছেন, শম্ভু ওই পাড়াতেই থাকে। ওই আবাসনের একাধিক ফ্ল্যাটে সে সাফাইয়ের কাজ করে। সেই সূত্রেই শীলার সঙ্গে আলাপ। কয়েক মাস আগে শীলা সাতাশ হাজার টাকা ধার নেন শম্ভুর কাছ থেকে। সেই টাকা বার বার ফেরত চেয়েও পাচ্ছিল না সে। সেই টাকা ফেরত চাইতেই শনিবার শীলার তিন তলার ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন শম্ভু। সঙ্গে ছিল শম্ভুর বন্ধু যার মা আগে শীলার কাছে পরিচারিকার কাজ করতেন। সেখানে বচসা শুরু হলে, শীলার মাথা দেওয়ালে এলোপাথাড়ি ঠুকতে থাকেন শম্ভু। রক্ত বেরতেই ভয় পেয়ে যান শম্ভু। তার পর বালিশ দিয়ে শীলার মুখে চাপা দিয়ে তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করেন শম্ভু।
আরও পড়ুন- কসবার ফ্ল্যাটে মহিলা অফিসার খুন, আততায়ী কি ঘনিষ্ঠ কেউ?
আরও পড়ুন- দু’টি গুলি চলেছিল দমদম মেট্রো স্টেশনে!
কিন্তু শীলার মৃত্যুর পরই সম্বিত ফেরে শম্ভুর। তখন গোটা ঘটনাটিকে দুর্ঘটনার চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করে। সেই কারণেই রান্নাঘরে শীলার দেহ টেনে নিয়ে যায়। সেখানে গ্যাসের পাইপ খুলে অন্য একটি নাইটিতে আগুন দিয়ে দুর্ঘটনার চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করে। সেই পরিকল্পনায় সামিল ছিল শম্ভুর বন্ধুও।
শুধু টাকা ধার দেওয়া নিয়েই বচসা নয়, শম্ভুর সঙ্গে ‘ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্কও ছিল শীলার। আর সেই সম্পর্ক নিয়েও চলছিল টানাপড়েন। সেই টানাপড়েনও এই খুনের পিছনে অন্যতম কারণ বলে অনুমান তদম্তকারীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy