অন্য রকম: এ ভাবেই ব্যবহার করা হচ্ছে পোস্টকার্ড। নিজস্ব চিত্র
এক সময়ে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে স্বতন্ত্র জায়গা করে নিয়েছিল হাতে লেখা চিঠি। কিন্তু যুগ বদলের সঙ্গে সঙ্গে চিঠির দিন গিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তির হাত ধরে তার জায়গা নিয়েছে ই-মেল, হোয়াটসঅ্যাপ। ফলত পোস্টকার্ডের চাহিদাও প্রায় অস্তমিত। নবীন প্রজন্মের কাছে তার সেই হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে শহরের একটি বইমেলা কমিটি।
আগামী ২৩ ডিসেম্বর বাগুইআটি জোড়ামন্দির এলাকায় শুরু হচ্ছে বাগুইআটি বইমেলা। তার উদ্যোক্তারা আমন্ত্রণ থেকে আবেদন— সবই জানানোর জন্য বেছে নিয়েছেন পোস্টকার্ডকে। এর জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে প্রায় এক হাজার পোস্টকার্ড। এখানেই শেষ নয়। উদ্যোক্তারা আরও জানাচ্ছেন, মেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি চিঠি লেখার প্রতিযোগিতার পরিকল্পনা করা হয়েছে। তার জন্য বিনামূল্যে পোস্টকার্ড বিতরণ করা হবে। সেরা চিঠি লেখককে পুরস্কৃত করবে মেলা কমিটি।
এমন অভিনব ভাবনা কেন? বইমেলা কমিটির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক সোমেশ্বর বাগুই জানান, বই পড়া থেকে শুরু করে হাতে লেখা— পরিবর্তন হয়েছে সব কিছুরই। কিন্তু পোস্টকার্ডের যে কদর, তাকে ভুললে চলবে না। সেই অতীতকে তুলে ধরার লক্ষ্যেই এমন ভাবনা। তবে উদ্যোক্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, এমন পরিকল্পনা কার্যকর করার কাজটা খুব সহজ ছিল না। ডাকঘরে গিয়ে এক বারে খুব বেশি হলে ১০০টি পোস্টকার্ড পাওয়া গিয়েছে।
মেলা কমিটি সূত্রে খবর, ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টে থেকে রাত ৯টা মেলা চলবে। একাধিক প্রকাশনা সংস্থার অংশগ্রহণের পাশাপাশি রোজ থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy