প্রতীকী ছবি।
ফি বর্ষায় বানভাসি হয় বাগুইআটি, চিনার পার্ক-সহ রাজারহাট-গোপালপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা গিয়েছিল, এর পিছনে রয়েছে মূলত বেহাল নিকাশি। তা ছাড়া, দীর্ঘদিন সংস্কার না-হওয়ায় বুজে গিয়েছে খালও। এই জোড়া সমস্যার সমাধানে সোমবার নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে এক বৈঠক হয়। সেখানে পাম্পিং স্টেশন তৈরি, খাল সংস্কার-সহ একগুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে হাজির ছিলেন বিধাননগর পুরসভা, হিডকো, সেচ, নবদিগন্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি, মেট্রো এবং পূর্ত দফতরের প্রতিনিধিরা।
বিধাননগর পুরসভা এবং হিডকো সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, সিটি সেন্টার (২)-এর কাছে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশন তৈরি করবে হিডকো। ইতিমধ্যেই তারা খাল সংস্কারের কাজ শুরু করেছে। পাশাপাশি ওই শপিং মলের কাছে বিধাননগর এবং নিউ টাউনের সীমানা এলাকায় তৈরি হবে একটি কম্প্যাক্টর স্টেশনও। বাবলাতলার কাছে থাকা পূর্ত দফতরের একটি পাম্পিং স্টেশনের ক্ষমতা বাড়ানো হবে। এ ছাড়াও বৈঠকে ওই এলাকায় খালপাড় মেরামতি এবং খালে আবর্জনা ফেলার সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়। বিধাননগর পুর এলাকার ১-২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভূগর্ভস্থ নিকাশি ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে বলেও প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে।
বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই ‘হাই পাওয়ার্ড কমিটি’র বৈঠক হয়। রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় জল জমা থেকে শুরু করে নিকাশির সমস্যা বহু দিনের। তা মেটাতে বিভিন্ন সরকারি দফতরের প্রতিনিধিরা একসঙ্গে আলোচনা করে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেছেন। দ্রুত কাজ শুরুর চেষ্টা চলছে।
সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে প্রায় বানভাসি হয়েছিল চিনার পার্ক এবং রাজারহাট-গোপালপুর পুর এলাকার বেশ কিছু জায়গা। এর পরেই ওই এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন ও বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস জানা। সূত্রের খবর, পুরসভা এবং হিডকো ছাড়াও ওই এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি, পূর্ত এবং সেচ দফতর কাজ করে। তাই সকলকে নিয়েই বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ‘‘দেরিতে হলেও এমন প্রচেষ্টা যে শুরু হয়েছে, সেটা ভাল। আশা করা যাচ্ছে, দীর্ঘ দিনের সমস্যা থেকে এ বার মুক্তি পাওয়া যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy