Advertisement
১১ মে ২০২৪

তামা বোঝাই লরি চুরির কিনারা, ধৃত ৪

পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৪ মার্চ পশ্চিম বন্দর থানায় ২৪ টন তামা-সহ লরি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন বড়বাজারের ব্যবসায়ী ধর্মবীর কুমার। জানান, সম্প্রতি নেপালে ওই পরিমাণ তামা রফতানির বরাত পেয়েছিলেন তিনি।

উদ্ধার হওয়া সেই তামার তার। নিজস্ব চিত্র

উদ্ধার হওয়া সেই তামার তার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯ ০০:২২
Share: Save:

তামার তার বোঝাই আস্ত লরি উধাও হয়ে গিয়েছিল রাস্তা থেকে! গত ৪ মার্চের ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পরে লরিটির খোঁজ মেলে। তারও কয়েক দিন পরে উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া তামার তার। পুলিশের দাবি, ওই তামার দাম প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের বুধবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে পুরুষোত্তম বর্মা এবং বালকৃষ্ণ গর্গ নামে দুই অভিযুক্তকে আগামী ২৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাকি দু’জন অবশ্য জামিন পেয়েছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৪ মার্চ পশ্চিম বন্দর থানায় ২৪ টন তামা-সহ লরি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন বড়বাজারের ব্যবসায়ী ধর্মবীর কুমার। জানান, সম্প্রতি নেপালে ওই পরিমাণ তামা রফতানির বরাত পেয়েছিলেন তিনি। সেই মতো নেতাজি সুভাষ ডক থেকে পরিবহণ সংস্থার লরিতে ছ’বান্ডিল তামার তার তুলে দেন। ধর্মবীরের কথায়, ‘‘ওই পরিমাণ তামার আনুমানিক দাম এই মুহূর্তে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮১৬ টাকা। কিন্তু নেতাজি সুভাষ ডক থেকে বেরোনোর পরেই লরিটি নিখোঁজ হয়ে যায়। চালক ফোন ধরে জানান, তামার তার বোঝাই আস্ত লরিই চুরি হয়ে গিয়েছে। এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হই।’’

তদন্তে নেমে পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ সংশ্লিষ্ট পরিবহণ সংস্থাটির সঙ্গে কথা বলে। জেরা করা হয় লরির চালককেও। তদন্তকারীরা জানতে পারেন, লরিটির চালক ঘটনার রাতে দমিউন অ্যাভিনিউয়ে গাড়ি রেখে হাইড রোডে খেতে গিয়েছিলেন। ফিরে দেখেন লরি উধাও। এর পরে ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। স্থানীয় কয়েক জন জানান, তাঁরাও ওই রকম একটি লরিকে যেতে দেখেছিলেন। এক দিনের মধ্যেই সূত্র মারফত লরির খোঁজ মেলে। লিলুয়া থেকে সেটিকে উদ্ধার করা হয়। তবে খালি জমিতে লরিটি পড়ে থাকলেও তাতে তামা ছিল না বলে জানান এক পুলিশ আধিকারিক।3

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তদন্ত চলাকালীন সূত্র মারফত অফিসারেরা খবর পান, বাউড়িয়া এলাকায় রয়েছে তামার বান্ডিলগুলি। গত ১১ মার্চ সেখানকার একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে হানা দিয়ে তামার তারের বান্ডিল উদ্ধার হয়। গ্রেফতার করা হয় বালকৃষ্ণকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পশ্চিম বন্দর থানা এলাকা থেকে ধরা হয় পুরুষোত্তমকে।

তদন্তকারীদের অনুমান, ওই বিপুল পরিমাণ তামা রাতারাতি কোথাও বিক্রি করে দেওয়া সম্ভব নয় জেনেই সেগুলি জমিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় দুষ্কৃতীরা। পরে সুযোগ বুঝে ধীরে ধীরে ওই তামা বিক্রির পরিকল্পনা ছিল তাদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Police Crime Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE