পুলিসের স্টিকার লাগানো নীল বাতির এই গাড়ি চড়েই ডাকাতি করত ধৃতরা। —নিজস্ব চিত্র।
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা(এনআইএ)-র কয়েক জন শীর্ষ আধিকারিক মাঝেমধ্যেই হাজির হচ্ছেন নিউটাউনের বিভিন্ন বড় বড় নির্মাণ সংস্থার ‘সাইট অফিস’-এ। এ রকম খবর বেশ কয়েক দিন ধরেই পাচ্ছিলেন নিউ টাউন সহ বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ কর্তারা।
এমন অভিযোগও পাচ্ছিলেন যে, ‘এনআইএ’ পরিচয় দেওয়া আধিকারিকরা ওই নির্মাণ সংস্থার বিভিন্ন রকম ত্রুটির কথা বলে ভয় দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকাও চাইছেন। তাতে আরও সন্দেহ হয় পুলিশের।
ঠিক সেই সময়েই মঙ্গলবার রাতে পুলিশের কাছে খবর আসে যে, একটি লাল রঙের নীল বাতি লাগানো এসএউভি দাঁড়িয়ে আছে নিউটাউনের আকাঙ্ক্ষা মোড়ে। গাড়িতে যারা রয়েছে তাঁদের কাছে রয়েছে পিস্তল, ওয়াকিটকি!
আরও পড়ুন: শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ সুরঞ্জনের
ধৃত পাঁচ জনের মধ্যে দু’জন। —নিজস্ব চিত্র।
খবর পেয়েই আকাঙ্ক্ষা মোড়ে হাজির হয় নিউটাউন থানার পুলিশ। সেখানে পুলিশ ওই গাড়ির সওয়ারিদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা নিজেদের এনআইএ আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দেন। তারা পুলিশকে এটাও জানান যে গাড়িতে একজন এসপি পদমর্যাদার আধিকারিক রয়েছেন। কিন্তু গাড়ির সওয়ারিদের কথা বার্তায় অসঙ্গতি পান পুলিশ কর্মীরা। তাঁরা ওই গাড়ির সওয়ারিদের পরিচয় পত্র দেখাতে বলেন। তাঁদের দেওয়া পরিচয়পত্র নিয়ে বিধাননগর পুলিশ সল্টলেকে এনআইএ দফতরেও খোঁজ নেন। সেখানে ওই নামে কোনও আধিকারিকের হদিশ পাওয়া যায়নি। তারপরেই পুলিশ বুঝতে পারে, তাঁদের জাল পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রৌঢ়ের দেহ নিয়ে ফ্ল্যাটে বসে পরিবার
গাড়ি-সহ ওই এসইউভি-র পাঁচ সওয়ারিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় নিউটাউন থানায়। জেরা করতে গিয়ে জানা যায়,ওরা কেউ আদৌ পুলিশ কর্মী নন। গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে হদিশ মেলে একটি ওয়াকিটকির, যেটি বিকল ছিল। সঙ্গে নকল পিস্তল। জানা গিয়েছে ওরা নিউটাউন এলাকায় বিভিন্ন নির্মাণ সংস্থায় কখনও এনআইএ আবার কখনও অন্য কোনও সংস্থার আধিকারিক হিসাবে পরিচয় দিয়ে তোলা আদায় করত। ধৃতদের মধ্যে দু’জন দিলীপ শর্মা এবং অমর শর্মা হাওড়ার বাসিন্দা। বাকি তিনজনের মধ্যে রয়েছে দমদমের গোপাল কর্মকার, বেলেঘাটার সঞ্জয় সাউ এবং ফুলবাগানের ফকরুদ্দিন আলি।
(কলকাতা শহরের রোজকার ঘটনার বাছাই করাবাংলা খবরপড়তে চোখ রাখুন আমাদেরকলকাতাবিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy