প্রতীকী ছবি।
রাতের শহরে নাকা তল্লাশিতে ধরা পড়েছিল সন্দেহভাজন এক দুষ্কৃতী। তাকে জেরা করে ছ’টি মোটরবাইক চুরির কিনারা করল জোড়াবাগান থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি চোরাই বাইকও।
লালবাজার জানিয়েছে, সম্প্রতি জোড়াবাগান থানায় মোটরবাইক চুরির একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছিল। গত রবিবার রাতে নাকা তল্লাশি চলাকালীন জঙ্গিপুরের এক বাসিন্দা চঞ্চল দাসকে চোরাই বাইক সমেত ধরে লেক টাউন থানা। সেই খবর পেয়ে জোড়াবাগান থানার তদন্তকারীরা চঞ্চলকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তখনই জানা যায়, কলকাতা থেকে নানা সময়ে বাইক চুরি করে বহরমপুরে নিয়ে যেত চঞ্চল। সেখানে এক ব্যক্তির কাছে বাইকগুলি তুলে দিত। ওই ব্যক্তি সেই বাইক বন্ধক দিত বিভিন্ন যুবককে।
পুলিশ জানায়, এর পরেই মঙ্গলবার রাতে জোড়াবাগান থানার তদন্তকারীদের একটি দল বহরমপুরের কাশিমবাজারে অভিযান চালিয়ে সঞ্জীব হালদার নামে ওই ব্যক্তিকে ধরে। চুরি করা বাইক তার হাতেই তুলে দিত চঞ্চল। রাতে সঞ্জীবকে নিয়ে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি বাইক উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, ২০-৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে বাইক বন্ধক দিত ওই যুবক।
পুলিশের দাবি, ধৃতেরা জানিয়েছে, রাতে বাড়ির সামনে কোথায় মোটরবাইক রাখা থাকে তা আগেভাগে দেখে যেত চঞ্চল। গভীর রাতে মাঙ্কি ক্যাপ পরে সেখানে হানা দিত। কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে মোটরবাইকের লক খুলে তা চালু করে চম্পট দিত। পুরো ঘটনায় সময় লাগত ১২-১৫ সেকেন্ড। পুলিশ জেনেছে, প্রথমে ওই বাইক নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে যেত চঞ্চল। কয়েক দিন পরে সেটি চালিয়ে বহরমপুরে সঞ্জীবের ডেরায় পৌঁছে দিত।
ব্যাঙ্কশাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি সাজ্জাদ আলি খান বুধবার জানান, সঞ্জীবকে এ দিন আদালতে তোলা হলে আগামী সোমবার পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy