ফাইল চিত্র।
জরুরি ভিত্তিতে যাঁদের কাজ করতে হয়, তাঁদের সুরক্ষার কথা ইতিমধ্যেই ভেবেছে রাজ্য সরকার। এ বার পুর দফতরের অধীনে যতগুলি পুরসভা রয়েছে, সেগুলির স্বাস্থ্য, জল এবং জঞ্জাল বিভাগের কর্মীদের জন্য বিশেষ পোশাক কিনতে চলেছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। দফতর সূত্রের খবর, সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
দফতরের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, এই তিনটি বিভাগের কর্মীদের জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হয়। সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কাও বেশি থাকে তাঁদের। সে কারণেই বিশেষ পোশাক কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘কর্মীদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষার জন্য আগেই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এই তিন বিভাগের কর্মীদের জন্য আলাদা করে ফের পোশাক কেনা হচ্ছে।’’ ‘স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি’-র (সুডা) মাধ্যমে সেগুলি কেনা হবে।
দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যের পুর এলাকাগুলির সংক্রমণের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সেই অনুযায়ী সংক্রমণ প্রতিরোধে পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। যদিও প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, যত পরিকল্পনাই করা হোক না কেন, তা বাস্তবায়নে শিথিলতা থাকার কারণেই পুর এলাকাগুলিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এক জনস্বাস্থ্য চিকিৎসকের কথায়, ‘‘সংক্রমণের হার দেখলেই বোঝা যাবে যে, নিয়ম ঠিক মতো মানা হচ্ছে না। তাই এলাকাভিত্তিক সংক্রমণ বাড়ছে।’’
প্রশাসনিক মহলের একাংশের এ-ও বক্তব্য, পুর এলাকাভিত্তিক সংক্রমিতের যে সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে, প্রকৃত সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। কারণ, সংক্রমণের খবর ঠিক মতো ‘রিপোর্টেড’ হচ্ছে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। অনেকের মৃদু উপসর্গ থাকায় তাঁরা বাড়িতে থাকছেন এবং নির্দিষ্ট সময় পরে অনেক ক্ষেত্রেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। ফলে সংক্রমিতের একটি অংশ থাকছেন হিসেবের বাইরে। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘আক্রান্তেরা সবাই যে চিকিৎসাকেন্দ্রে আসছেন এমন নয়। ফলে প্রকৃত সংখ্যাটা বেশি হওয়ারই আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জরুরি বিভাগের কর্মীরা যাতে সুরক্ষিত থাকেন, সেই চেষ্টাই করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy