রোদের মধ্যে লোহার শিক বাঁকানোর কসরত করতে হয়েছে। তাই ঘরে ঢুকেই টেবিল পাখা চালিয়ে দিল চোর। মিনিট খানেক হাওয়া খেয়ে, বিশ্রাম নিয়ে সোনা-গয়না চুরি করে চম্পট দিল সে। গৃহকর্ত্রী যখন বাড়ি ফিরেছেন, ঘরের টেবিল পাখা তখনও চলছে! তবে আলমারির লকার ফাঁকা।
গত বুধবার মানিকতলা থানা এলাকার মুরারিপুকুরে এই ঘটনা ঘটে। সে দিনই থানায় কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না চুরি যাওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন গৃহকর্ত্রী অসীমা দাস। তবে ঘটনার দু’দিন পরেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ইতিমধ্যেই বাড়ির লোক এবং প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। দুই কিশোরকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করা হলেও পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। এক তদন্তকারী জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়িই চুরির কিনারা হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, বাবা সুভাষচন্দ্র দাস এবং মা অসীমার সঙ্গে একতলার ওই বাড়িটিতে থাকেন পিয়ালি দাস। পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার দিন অফিস যাবেন বলে সদর দরজার গ্রিলে তালা দিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি। বাইরে থেকে বন্ধ ছিল গ্রিলের পরের দরজাও। তাঁর বাবা-মা আগেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন। পুলিশের অনুমান, বেলা ১টা থেকে ২টোর মধ্যে বাড়ির পিছনের দিকের জানলা দিয়ে ঘরে চোর ঢোকে।
তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে, বাড়ির পিছনের গলির দিকের জানলার শিক বাঁকানো। জানলায় লাগানো জালও ছেঁঁড়া। পিয়ালি বলেন, ‘‘সে দিন মা বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। মায়ের মনে হয়, আমি বা বাবা ভিতরে ঘুমোচ্ছি। পরে বারবার ডেকেও দরজা না খোলায় খুন্তি দিয়ে দরজার লক খুলে দেখেন, ভিতরে টেবল পাখা চলছে। আলমারির লকার ফাঁকা।’’ অসীমাদেবী বলেন, ‘‘ভিতরে ঢুকে দেখি, তাকের উপর থেকে টেবিল পাখা নামানো হয়েছে। সেটা চলছে। লকার ফাঁকা। লকারের চাবি কোথায় থাকে, তা শুধু আমি আর মেয়ে জানি।’’ তদন্তকারীদের অনুমান, চুরির আগে ভিতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল চোর। কিছু ক্ষণ বসে বিশ্রামও করেছিল। সেই সময়েই টেবিল পাখার হাওয়া খায় সে। তার পরে কোনও ভাবে আলমারির লকার খুলে চুরি করে পালায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy