জোকার দু’টি গ্রাম পঞ্চায়েত কলকাতার পুরসভার আওতায় এসেছে দু’বছর আগেই। পুরভোটের আগেই ওই এলাকায় বেশ কিছু জায়গায় রাস্তা, আলোর কাজও সেরে ফেলেছিল পুর-প্রশাসন। এ বার সেখানে পানীয় জলের বন্দোবস্ত করল পুরসভা। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বুধবার জানান, কলকাতা পুরসভার সঙ্গে যুক্ত হওয়া নতুন ওই তিনটি ওয়ার্ডের (১৪২, ১৪৩, ১৪৪) বাসিন্দাদের পরিস্রুত জল দেওয়া হবে। এর জন্য তিনটি ওয়ার্ডেই বুস্টার পাম্পিং স্টেশন করবে পুরসভা। আগামী আড়াই বছরের মধ্যে জোকার ওই সব এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে গার্ডেনরিচের জল।
আজ, বৃহস্পতিবার পুর-বাজেট। ভোটের আগে তিন মাসের জন্য ভোট অন অ্যাকাউন্ট হয়েছিল পুরসভায়। বাজেটের আগে মেয়র তথা রাজ্যের আবাসন ও পরিবেশমন্ত্রীর বক্তব্যে খুশি জোকার বাসিন্দারা। এ দিন মেয়র পরিষদের বৈঠকে শোভনবাবু পরিষদের সদস্যদের জোকায় পানীয় জল সরবরাহের বিষয়টি সবিস্তার জানান।
মেয়র জানান, প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেহালা ও যাদবপুরের কয়েকটি ওয়ার্ডে নিকাশি ও পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জোকায় পানীয় জলের জন্য ৭০০ কোটি টাকা খরচ হবে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের (এডিবি) আর্থিক সহযোগিতায় ওই প্রকল্প হচ্ছে। শুধু জলের জন্য ৪৫০ কোটি টাকা দেবে এডিবি। ওই টাকা পানীয় জল সরবরাহের জন্য পাইপলাইনের কাজে লাগানো হবে। তাঁর দাবি, বিশ্বে এমন কোনও দেশ নেই যেখানে জল সরবরাহের জন্য একটি পুর-প্রশাসনকে এত টাকা দিয়েছে এডিবি। কলকাতার প্রকল্পে খুশি হয়েই তারা ওই সহায়তা করেছে।
পুরসভা সূত্রের খবর, গার্ডেনরিচে শীঘ্রই আরও আড়াই কোটি গ্যালন অতিরিক্ত জল উৎপাদন হবে। তা থেকেই জল সরবরাহ করা হবে জোকা-সহ বেহালা ও যাদবপুরে কয়েকটি ওয়ার্ডে। এর জন্য পুরসভাও ২০০ কোটিরও বেশি টাকা খরচ করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy