রাজীব গাঁধী-ফাইল চিত্র।
রাজীব গাঁধীর মূর্তি বসানোর আবেদন জমা পড়ল কলকাতা পুরসভায়। পুরসভা সূত্রের খবর, এই প্রথম রাজীব-মূর্তি বসানোর জন্য আবেদন জমা পড়েছে। তা-ও আবার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের উদ্যোগে। আপাতদৃষ্টিতে এতে সমস্যা না থাকলেও সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এই মূর্তি বসানোর আবেদন
নিয়ে পুর প্রশাসনের অন্দরে জল্পনা শুরু হয়েছে।
কারণ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠক সম্প্রতি বর্জন করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে সেখানে এক জন তৃণমূল কাউন্সিলরের রাজীব গাঁধীর মূর্তি বসানোর আবেদন আলাদা মাত্রা পেয়েছে বলেই মনে করছেন পুরকর্তাদের একটি অংশ।
পুরসভা সূত্রের খবর, ১০৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তরুণ মণ্ডল ওই মূর্তি বসাতে আবেদন করেছেন। গত ৭ তারিখে সে জন্য দরপত্রও ডেকেছে পুরসভা। এর আগে সুব্রত মুখোপাধ্যায় মেয়র থাকাকালীন পুরসভার তরফে ইন্দিরা গাঁধীর মূর্তি বসানো হয়েছিল। কিন্তু রাজীব-মূর্তি পুরসভার তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও পর্যন্ত বসানো হয়নি। এক পুর কর্তার কথায়, ‘‘অনেক মূর্তির সঙ্গে রাজীব গাঁধীর মূর্তি বসানোরও আবেদন জমা পড়েছে। সে সবের দরপত্রও ডাকা হয়েছে।’’
এ নিয়ে তরুণবাবু অবশ্য বিতর্কে জড়াতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইন্দিরা গাঁধীর মূর্তি বসানোর জন্যেও তিনি আবেদন করেছিলেন। সেই সঙ্গে অন্য মনীষীদের মূর্তি বসানোরও পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, বিধানচন্দ্র রায়, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু-সহ আরও অনেক মনীষীর প্রতি সম্মান জানাতেই ওই আবেদন করেছি। রাজীব গাঁধীর মূর্তি বসানো হবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের মূর্তিও তো বসাচ্ছি। এতে বিতর্ক কোথায়!’’পুরসভা সূত্রের খবর, রাজীব গাঁধী-সহ অন্য মূর্তিগুলি বসানোর জন্য সব মিলিয়ে ছ’লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যদিও আরও একটি বিষয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কোনও রাজনৈতিক নেতার মূর্তি কি পুরসভা এ ভাবে বসাতে পারে? যদিও পুর কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘রাজনৈতিক নেতা হিসেবে নয়, ওই মূর্তি বসানো হবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। ফলে তাতে কোনও সমস্যাই নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy