Advertisement
১১ মে ২০২৪

পুলিশের হেফাজত থেকে পালাল দুই বন্দি

দিন কয়েক আগে ডাক্তারি পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বারাসতের চাঁপাডালি মোড় থেকে একই কায়দায় পালিয়ে গিয়েছিল ধর্ষণে অভিযুক্ত এক আসামি। 

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ০৩:২৬
Share: Save:

ডাকাতির অভিযোগে ধরা হয়েছিল দুই যুবককে। ডাক্তারি পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়ার পথে অনেকটা সিনেমার কায়দায় পুলিশের গাড়ি থেকে লাফিয়ে নেমে চম্পট দিল তারা। শনিবার দমদম থানা এলাকার ঘটনা। ওই দু’জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে তাদের নাগাল মেলেনি।

দিন কয়েক আগে ডাক্তারি পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বারাসতের চাঁপাডালি মোড় থেকে একই কায়দায় পালিয়ে গিয়েছিল ধর্ষণে অভিযুক্ত এক আসামি।

পুলিশ সূত্রে খবর, চঞ্চল সিংহ ও নয়ন মণ্ডল নামে দুই যুবককে একটি ডাকাতির ঘটনায় ১৭ জুলাই গ্রেফতার করে বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দা পুলিশ। বিমানবন্দর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতারের পরের দিন ডাকাতির মামলায় তাদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয়। তাদের জেরা করে আরও আরও কয়েকটি ডাকাতির কিনারা করতে ধৃতদের চার দিনের জন্য পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিতে আদালতে আর্জি জানালে তা মঞ্জুর হয়।

প্রতিদিনের মতো এ দিনও ধৃতদের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য থানা থেকে দমদম পুরসভা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল বিমানবন্দর থানার পুলিশ। একটি গাড়িতে চাপিয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। গাড়িতে ছিলেন পুলিশকর্মীরাও। পুলিশ জানিয়েছে, সেই সময়ে পুলিশ কর্মীদের ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে চঞ্চল ও নয়ন গাড়ি থেকে লাফ দেয়। তার পরে তারা রাস্তা ধরে দৌড়তে থাকে। গাড়ি থামিয়ে পিছু ধাওয়া করে পুলিশও। কিন্তু রাস্তার পাশের একটি গলি দিয়ে ঢুকে নিমেষে উধাও হয়ে যায় দু’জনেই।

পুলিশ জানিয়েছে, গলিটির শেষ মাথায় জঙ্গল ও ঝোপঝাড় রয়েছে। সেখানে দু’জন লুকিয়ে থাকতে পারে ভেবে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। বিমানবন্দর থানার পাশাপাশি দমদম থানা এবং বিধাননগরের গোয়েন্দারাও তল্লাশিতে নামেন। তবে পলাতক দুই আসামির খোঁজ মেলেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Police Criminal Dumdum Police Station
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE