প্রতীকী ছবি।
প্রথমে স্ত্রীকে গলা কেটে খুন। তার পরে নিজের হাত কেটে পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা। এমনই অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যায় কামারহাটিতে। পুলিশ জানায়, মৃত দম্পতির নাম রুস্তম হুসেন (২২) ও রেহেনা পরভিন (২০)। তাঁদের দু’বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
পুলিশ জানায়, কামারহাটির ধোবিয়াবাগানের বাসিন্দা, বাসচালক রুস্তমের সঙ্গে চার বছর আগে বিয়ে হয় রেহেনার। এ দিন সন্ধ্যা ছ’টা নাগাদ বাড়ি ফেরে রুস্তম। ঘরে সেই সময়ে রেহেনা ও শিশুটি ছিল। ঘরে ঢুকেই দরজা বন্ধ করে দেয় ওই যুবক। পরে প্রতিবেশীরা দীর্ঘ ক্ষণ ধরে বাচ্চাটির কান্না শুনতে পেয়ে রুস্তমের ঘরের দরজায় ধাক্কা দিতে থাকেন। দরজা ভেঙে দেখা যায়, রেহেনার গলার নলি কাটা। পাশে পড়ে রয়েছে রুস্তম, তার হাতের শিরা কাটা। পড়ে আছে একটি ছুরিও। সাগর দত্ত হাসপাতালে রেহেনাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশ জানায়, কয়েক জন পড়শি রুস্তমকেও হাসপাতালে আনছিলেন। হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে আচমকাই সে রিকশা থেকে নেমে ছুটতে শুরু করে। এর পরে হাসপাতালের সামনের পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে তলিয়ে যায়।
পুলিশ এসে রুস্তমের খোঁজে ডুবুরি নামায়। তিন ঘণ্টা পরে উদ্ধার হয় তার দেহ। আসেন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক মদন মিত্র। পুলিশ জেনেছে, মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন রুস্তম। তা নিয়েই অশান্তি হত। যুবকের আত্মীয় শেখ মিন্টু বলেন, ‘‘চেষ্টা করা সত্ত্বেও রুস্তমের সমস্যা বাড়ছিল। বাচ্চাটা অনাথ হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy