নববর্ষ নিয়ে আড্ডায় চলল রাগ, অভিমান, খুনসুটি আরও কত কী।
এক বসন্তপঞ্চমীর দিনে একসঙ্গে জীবন কাটাবার প্ল্যানিং সেরে ফেলেছিলেন ওঁরা।
নববর্ষ নিয়ে আড্ডায় চলল রাগ, অভিমান, খুনসুটি আর বাংলা ভাষাচর্চায় বাঙালির অনীহার কথা!
জগন্নাথ বসু আর ঊর্মিমালা বসু, দু’জন কবিতায় কথা শুরু করলেন। বাংলা কবিতা থেকে চলে এল বাঙালির ছেলেমেয়েদের ইদানীং অদ্ভুত নামে ডাকার কথা!
ঊর্মিমালা বললেন, “কেন আজকাল বাঙালি ছেলেমেয়েদের ‘বেটু’ ‘বেটি’ এ রকম ন্যাকা ন্যাকা নামে ডাকে?” নিজের ভাষাকে নিজেরাই সম্মান করতে ভুলে যাচ্ছি আমরা।
পাশ থেকে গলাটা একটু ঝেড়ে নিজস্ব কায়দায় বললেন এক পুরুষ কণ্ঠ, “আরে, আড্ডাটা একটু সিরিয়াস দিকে চলে যাচ্ছে না ঊর্মি! আর ক্যামেরা বোধ হয় ঊর্মিকে বেশি ধরছে। ভাই আমাকেও দেখবেন একটু।” তখনই ও পাশ থেকে নরম অথচ শক্ত কণ্ঠে জবাব এল, “আরে, সব সময় কি প্রেম সম্পর্কে আর আমাদের ঝগড়া নিয়ে কথা বলতে হবে নাকি।’’
নববর্ষ নিয়ে বসু দম্পতির সঙ্গে আড্ডায় আনন্দবাজার:
এ ভাবেই কথায় কথায় চলে এল সে কালে নববর্ষের দোকানে দোকানে মিষ্টির প্যাকেট আর কোল্ড ড্রিঙ্কে চুমুক দেওয়ার গল্প। নাহ্, দুর্গাপুজোর মতো নতুন শাড়ি বা দারুণ জামা নয়, সম্বল ছিল ছোট কিছু নতুন ভেঙে পড়ার।
পুরনো জানতে জানতে হঠাত তারা চলে গেলেন এক মধ্যবিত্ত জীবনের দাম্পত্যে!
কথা যুগের দাম্পত্যকে শুনতে শুনতে মনে হল, মেঘে মেঘে বেলা বাড়বে, ধনে পুত্রে লক্ষ্মী লোকসান লোকসান পুষিয়ে তুমি রাঁধবে মায়া প্রপঞ্চ ব্যঞ্জন পাগলী, তোমার সঙ্গে দশকর্ম জীবন কাটাব পাগলী, তোমার সঙ্গে দিবানিদ্রা কাটাব জীবন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy