ভস্মীভূত: হাবড়ার যুলতলায়। ছবি: সুজিত দুয়ারি
আগুনে পুড়ে গেল গোটা বাড়ি। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে হাবড়া এলাকায়। এখন মাথা গোঁজার আশ্রয় পর্যন্ত নেই পরিবারের। শুক্রবার রাতে প্রতিবেশীদের বাড়িতে তাঁরা ঘুমিয়েছিলেন। প্রতিবেশীরাই খাওয়ার ব্যবস্থা করছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলতলা এলাকার বাসিন্দা সমীর মালি রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। স্ত্রী দুর্গা পরিচারিকার কাজ করেন। একমাত্র মেয়ে রূপসা। শুক্রবার মেয়ের রেজাল্ট বেরিয়েছিল। ভাল ফল করে সপ্তম শ্রেণিতে উঠেছে সে। সেই আনন্দেই সন্ধ্যায় মালি দম্পতি মেয়েকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন। সে সময়ে প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পান, বাড়িতে আগুন লেগেছে। সমীর-দুর্গা দ্রুত বাড়িতে ফেরেন। ততক্ষণে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। গ্রামবাসীরা জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু লাভ হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই সকলের চোখের সামনে টিনের বাড়িটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে আর দমকলে খবর দেওয়া হয়নি। তবে ঘটনাস্থলে আসে হাবড়া থানার পুলিশ। আসেন পঞ্চায়েত সদস্যেরা। কী ভাবে আগুন লাগল, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। জমি-বাড়ির দলিল, পরিচয় সংক্রান্ত নথিপত্র সব পুড়ে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের সামনে দাঁড়িয়ে পুরো পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়ে। সমীর বলেন, ‘‘পরনের পোশাকটুকু ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট নেই। মেয়ের রেজাল্টটাও পুড়ে গিয়েছে। সরকার, পঞ্চায়েত পাশে না দাঁড়ালে কী ভাবে কী করব, বুঝতে পারছি না।’’ শুক্রবার রাত কেটেছে প্রতিবেশীদের বাড়িতে। তবে বাকি দিনগুলো কী ভাবে কাটবে, জানেন না তাঁরা। দুর্গা বলেন, ‘‘অনেক কষ্ট করে সোনার গয়না, আসবাবপত্র বানিয়েছিলাম। সব পুড়ে গিয়েছে।’’ পরিবারটির পাশে থাকার আশ্বস দিয়েছেন মছলন্দপুর পঞ্চায়েতের প্রধান কৃষ্ণপদ মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘আপাতত পরিবারটিকে ত্রিপল ও ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সরকারি প্রকল্পে বাড়ি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy