ধৃত: তারাপদ। ছবি তুলেছেন শান্তশ্রী মজুমদার
মদের দোকান পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন আবগারি কর্তারা। তাঁদের হুমকি দেওয়া, হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে পাথরপ্রতিমা কলেজের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ মাঝির বিরুদ্ধে। আধিকারিকদের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার হন ওই ছাত্রনেতা। শনিবার কাকদ্বীপ আদালত থেকে জামিন পান।
কাকদ্বীপ আবগারি জেলার অতিরিক্ত সুপার অমিত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘আমরা পাথরপ্রতিমা গিয়েছিলাম। ছেলেটি হঠাৎই এসে কোনও কারণ ছাড়া আমাদের গালাগাল শুরু করে। পরিচয়পত্র দেখানের পরেও সে কটূক্তি করে যাচ্ছিল। এক সময়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। আমাদের এক অফিসারের হাত কেটে গিয়েছে।’’ রাতে পাথরপ্রতিমা গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার পরে ছাড়া হয় প্রভাস বালা নামে ওই আধিকারিককে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি মদের দোকানের সামনে ওই ঝামেলার পরে রাতেই আবগারি অফিসাররা তাঁদের গাড়িতে তারাপদবাবুকে পাথরপ্রতিমা থানায় তুলে আনেন। তারপরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। সরকারি আধিকারিকদের হেনস্থা, মারধর, কাজে বাধা দেওয়ার মামলা রুজু হয়েছে।
পুলিশের দাবি, এ দিন আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পরে তারাপদবাবু জানিয়েছেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। দলের বৈঠক সেরে তিনি বাইক নিয়ে ওই পথে যাচ্ছিলেন। আবগারি দফতরের গাড়ি তাঁকে ধাক্কা মারে। তিনি তা বলতে গেলে অফিসারেরা উপেক্ষা করেন। তখনই বচসা বাধে। যদিও তারাপদবাবুর কোনও আঘাত নেই বলেই জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।
তারাপদর দাবি, কথা কাটাকাটির সময়ে তিনি বলেন, এখানে কয়েকটি হোটেলে দেহব্যবসা চলে। মদের আসর বসে। সেগুলি থেকে আবগারি কর্তা তোলা পান। এ কথা বলাতেই তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি ওই ছাত্রনেতার। পুলিশ এবং আবগারি দফতর সূত্রে অবশ্য অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারাপদর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অমিত সাহা বলেন, ‘‘ঘটনাটা শুনেছি। কে দোষ করেছে, তা তো জানি না। তবে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy