শুশ্রূষার চেষ্টা বাড়িতেই। নিজস্ব চিত্র।
ডেঙ্গির আতঙ্ক এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে অজানা জ্বরের প্রকোপ। জ্বরে আক্রান্ত তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বসিরহাটের বড়গোবরা গ্রামে। আক্রান্ত আরও কয়েক জন।
বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জ্বরে আক্রান্ত কয়েক জনের রক্ত পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে বড়গোবরা গ্রামে তিন জনের মৃত্যুর সঙ্গে ডেঙ্গির সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। জ্বরের সঙ্গে অন্য কোনও উপসর্গেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।’’ তিনি জানান, বুধবার বড়গোবরা গ্রামে চিকিৎসক দল পাঠানো হয়। তাঁরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছেন।
বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন গ্রামে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। সব থেকে বেশি প্রকোপ বসিরহাট ২ ব্লকের বেগমপুর-বিবিপুর পঞ্চায়েতের বড়গোবরা গ্রামে। এই গ্রামের মুহুরি পাড়ায় তিন জন বাসিন্দা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাঁদের নাম সহিদুল ইসলাম, সাকিনা বিবি এবং এসমাতারা বিবি। সকলকে স্থানীয় ধান্যকুড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতার আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
বুধবার এলাকায় আসেন বসিরহাট উত্তর কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক এটিএম আবদুল্লা রনি। দুপুরে গ্রামে চিকিৎসকদের দল গিয়ে পরীক্ষা করেন। তাঁরা জানান, রোগীদের জ্বরের সঙ্গে মাথা ব্যথা, বমির মতো অন্য কয়েকটি উপসর্গ রয়েছে। এই জ্বর ডেঙ্গি নয় বলেই তাঁদের প্রাথমিক অনুমান। যদিও স্থানীয় বাসিন্দা মরিয়ম বিবি, গফ্ফার গাজি, খালেক মণ্ডলদের দাবি, এলাকার বেসরকারি প্যাথলজি সেন্টারে জ্বরে আক্রান্ত কয়েক জনের রক্ত পরীক্ষার পরে রিপোর্টে ডেঙ্গির কথা বলা হয়েছে।
বাদুড়িয়া, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, স্বরূপনগরের কিছু এলাকাতেও জ্বরের প্রকোপ ছড়িয়েছে। বসিরহাট জেলা হাসপাতালে প্রতি দিন বহু মানুষ আসছেন। স্বরূপনগরের শাঁড়াপুল, সন্দেশখালির খুলনা, হিঙ্গলগঞ্জের ন’নম্বর সান্ডেলের বিল হাসপাতালেও অজানা জ্বর নিয়ে ভিড় বাড়ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক প্রশাসন এবং পঞ্চায়েতগুলিকে এলাকা সাফাই, লিফলেট বিলি করতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতির কথা রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy