—প্রতীকী ছবি।
প্রায় ১০ লক্ষ জাল ভারতীয় টাকা-সহ এক বাংলাদেশি যুবককে পাকড়াও করল বিএসএফ।
শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটার আংরাইল সীমান্তে। রাতে বিএসএফের তরফে ওই যুবককে গাইঘাটা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ মহম্মদ সুকুর আলি নামে বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জ এলাকার শিবগঞ্জের বাসিন্দা ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের কাছ থেকে ৯ লক্ষ ৮২ হাজার জাল ভারতীয় টাকা উদ্ধার হয়েছে। ৪৯১টি জাল ২ হাজার টাকার নোটও ছিল তার মধ্যে। এ ছাড়া, প্রায় ৬ হাজার ভারতীয় টাকা, বাংলাদেশি পাসপোর্ট-ভিসা ও মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। মোবাইলে দু’টি সিম আছে। যার মধ্যে একটি বাংলাদেশের।
পুলিশ ও বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ আংরাইল সীমান্তে বিএফএফের ৬৪ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানেরা পাহারা দিচ্ছিলেন। তাঁদের নজরে আসে, ইছামতী পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে এক যুবক এ দেশে ঢুকছে। জওয়ানেরা তাকে তাড়া করে ধরে ফেলে। তল্লাশি চালিয়ে ব্যাগ-ভর্তি জাল টাকা উদ্ধার হয়।
ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই টাকা মালদহের কালিয়াচকে দুই ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল সুকুরের। এ দেশের যে ফোনের সিমটি মিলেছে সুকুরের কাছে, সেই নম্বরে মালদহের খদ্দেরদের ফোন করার কথা ছিল।
সুকুরের কাছে জাল টাকা এল কী ভাবে? পুলিশের দাবি, জেরায় সে জানিয়েছে, বাংলাদেশের পুটখালি এলাকার বাসিন্দা নাসির নামে এক ব্যক্তি তাকে টাকা দিয়েছিল। বৈধ পাসপোর্ট-ভিসা থাকা সত্ত্বেও কেন সুকুর চোরাপথে এল, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। অতীতে বনগাঁর বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে রমরমিয়ে জাল টাকা বাংলাদেশ থেকে এ দেশে ঢুকে পড়ত। পুলিশ ও বিএসএফের ধরপাকড় ও কড়া পদক্ষেপের ফলে জাল টাকা পাচারকারীরা রুট পরিবর্তন করে। মালদহ সীমান্ত দিয়ে শুরু হয় জাল টাকা পাচারের কারবার। সেখানেও ধরপাকড় বেড়েছে। বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে কয়েক বছর জাল টাকা পাচার বন্ধ রয়েছে। এ দিনের ঘটনার পরে পুলিশ-বিএসএফ মনে করছে, ফের এই রুট ব্যবহার করতে শুরু করতে পারে জাল টাকার কারবারিরা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy