প্রেমের সম্পর্ক গড়িয়েছিল বিয়ের কথাবার্তা পর্যন্ত। কিন্তু আচমকাই সেখানে ঢুকে পড়ে দেনাপাওনার কথা। এমনকী, দাবি না মিটলে বিয়েতেও রাজি নয় বলে জানিয়ে দেয় প্রেমিক। ভেঙে পড়েন তরুণী। দিন কয়েক পরেই ছিল বিয়ের দিন। কিন্তু তার আগেই গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল পাপিয়া খাতুনের (২৬)।
ঘটনাটি বসিরহাটের ঘোড়ারাস গ্রামের। বৃহস্পতিবার রাতে ওই গ্রামের বাড়িতেই ওড়নার ফাঁসে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় পাপিয়ার। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বাবা ইসাক মোল্লার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বসিরহাটের চাঁপাপুকুরের কাটিয়ারবাগ গ্রামের হবু বর সামসুল সর্দারের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে।
পুলিশ জানিয়েছে, বছর তিনেক ধরে পাপিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সামসুলের। আপত্তি ছিল না দু’বাড়ির। সেই মতো ১৪ মার্চ বিয়ের দিন ঠিক হয়।
এরপরেই ঘটনা মোড় নেয় অন্য দিকে।
গরিব শ্বশুরকে প্রথমে হবু জামাই জানিয়েছিল, বিয়েতে যৌতুক বাবদ কোনও চাহিদা নেই তার। কিন্তু বিয়ের দিন যত এগিয়ে আসছিল, একটা একটা করে জিনিসের চাহিদা বাড়ছিল ছেলের বাড়ির। খাট-বিছানা দিয়ে বায়নাক্কা শুরু হলেও গয়নাগাটির দাবিও জুড়ে যায়। শেষমেশ, মোটরবাইকও চেয়ে বসে পাত্রপক্ষ। সঙ্গে নগদ ৩০ হাজার টাকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে সামসুল ফোন করে হবু শ্বশুরকে। বলে, যৌতুকের পাই-পয়সা বুঝিয়ে না দিলে বিয়ের আসরেই যাবে না সে। ভেঙে পড়েন মেয়ের বাবা।
কথাটা কানে ওঠে পাপিয়ারও। সে প্রথমটায় ভেবেছিল, এমন বলতেই পারে না সামসুল। কিন্তু ভুল ভাঙে। অভিযোগ, টেলিফোনে পাপিয়াকেও সামসুল জানিয়ে দেয়, দাবি না মিটলে বিয়ে করবে না সে।
হতভম্ব যুবতী ফোন রেখে নিজের ঘরে যান। ওই রাতেই বাড়ির একটি ঘরে ওড়নার ফাঁসে ঝুলতে দেখা যায় তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy