বন্ধ: বাজারে এ দিন বন্ধের চেহারা। মঙ্গলবার। ছবি: সামসুল হুদা
ভাঙড়ের সোনাপট্টিতে নৈশপ্রহরী খুনের ঘটনায় দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা।
গত দু’তিন মাসে বারুইপুর পুলিশ জেলার বেশ কিছু এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে গিয়েছে। সর্বশেষ ঘটনা, রবিবার রাতে। ডাকাতিতে বাধা পেয়ে সোনাপট্টিতে নৈশপ্রহরী সহিদ মোল্লাকে পিটিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। কয়েকজন দাগি সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীকে আটক করে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
মাস আগে বকুলতলা থানা এলাকায় দুষ্কৃতীরা ডাকাতির উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। মাস দু’য়েক আগে বারুইপুর থানা এলাকায় ডাকাতদল পুলিশকে বেঁধে রেখে রাইফেল ছিনিয়ে নিয়ে পালায়। সেটা অবস্য কিছু দূরে গিয়ে ফেলে দিয়ে পালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। কোনও ক্ষেত্রেই দুষ্কৃতীদের ধরতে পারেনি পুলিশ।
সোনাপট্টির ঘটনা প্রসঙ্গে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ বসু বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ৪-৫ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সেই মতো বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হচ্ছে। আশা করছি, দ্রুত গোটা দলকে ধরা সম্ভব হবে।’’
ভাঙড়ের এই ঘটনায় পুলিশের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে বারুইপুর পুলিশ জেলার স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ। গ্রুপের ওসি লক্ষ্মীকান্ত বিশ্বাসের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানোর পাশাপাশি ভাঙড় সহ আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দাগি দুষ্কৃতীদের মোবাইল টাওয়ার পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থানার আটপুকুর এলাকার দুষ্কৃতী দল এই ঘটনায় জড়িত। সোমবার রাতে হাড়োয়া থানার বেশ কিছু এলাকাতেও অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, ভাঙড়ে ১০-১২ জনের যে দুষ্কৃতী দলটি ডাকাতি করতে এসেছিল, তারা কেউ কেউ হিন্দিতেও কথা বলছিল। পুলিশেরই একাংশের অনুমান, সাম্প্রতিক তিনটি ঘটনায় একই দুষ্কৃতীরা জড়িত। ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতীও থাকতে পারে।
এ দিকে, সোনাপট্টির ঘটনায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। এমনিতেই প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার ভাঙড় বাজার বন্ধ থাকে। কিছু জরুরি ওষুধের দোকান সহ কয়েকটি হাতে গোনা দোকান খোলা থাকলেও বাজারের পথঘাট এ দিন ছিল সুনসান। বাজার ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভীতি দূর করতে বেশ কিছু উদ্যোগ করা হচ্ছে। বাজারে সশস্ত্র পাহারার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা, পর্যাপ্ত আলো লাগানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy