প্রহৃত: সুষমা বিশ্বাস। বসিরহাটে। নিজস্ব চিত্র।
ঘাস কাটা নিয়ে শুরু হয় বচসা। অভিযোগ, এরপরেই শাশুড়িকে লাঠি দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল বড় বৌমা। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাট থানার ভবানীপুর দাসপাড়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, রক্ত মাখা কপাল নিয়েই সুষমা বিশ্বাস নামে ওই বৃদ্ধাকে থানায় নিয়ে আসে তাঁর নাতি। ওই অবস্থাতেই পুলিশ গাড়ি করে নিয়ে গিয়ে তাঁকে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। মালতি বিশ্বাস নামে অভিযুক্ত বৌমাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুবল বিশ্বাস ও সুষমার ছয় ছেলেমেয়ে। বড় ছেলে রামের স্ত্রী মালতি। বছর তিরিশ আগে সুবল এবং বারো বছর আগে বড় ছেলে রামের মৃত্যু হয়। তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। সুষমা তাঁর দুই ছেলে কানাই, লক্ষ্মণ এবং বড় বৌমা মালতিকে নিয়ে থাকেন। ছোট ছেলে কানাই আবার অসুস্থ। অভাবের সংসারে সামান্য কারণে প্রায়ই অশান্তি লেগে থাকে। এ দিন দুপুরে তা বড় আকার নেয়।
পুলিশ জানায়, দুপুরে কেউ না থাকায় একা বৃদ্ধা বাড়ির সামনে থাকা ঘাস পরিষ্কার করছিলেন। তাই নিয়ে মালতির সঙ্গে বচসা বাধে। অভিযোগ, লাঠি নিয়ে বৃদ্ধাকে পেটাতে শুরু করেন মালতি। বৃদ্ধার মাথা ফেটে গল গল করে রক্ত বেরোতে থাকে। সে সময়ে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে মেয়ের ঘরের নাতি স্বরূপ। সে গুরুতর আহত ঠাকুমাকে থানায় নিয়ে আসে। স্বরূপের কথায়, ‘‘কারণে-অকারণে প্রায়ই ঠাকুমাকে এমন ভাবে মারধর করা হয়।’’ মালতি বলেন, ‘‘কথায় কথায় গালিগালাজ করলে কার মাথার ঠিক থাকে বলুন। এ দিন কাজ করে বাড়ি ফিরে দেখি অকাজ করছেন মা। বারণ করায় গালাগাল করেন। তাতেই মাথাটা গরম হয়ে যায়। হাতের সামনে পড়ে থাকা লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করি।’’ তবে গ্রেফতারের খবর শুনে চিকিৎসাধীন সুষমা বলেন, ‘‘যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। দোষ স্বীকার করলে পুলিশ যেন বৌমাকে ছেড়ে দেয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy