বিপত্তি: দুর্ঘটনার পরে দু’টি গাড়ির অবস্থা। নিজস্ব চিত্র
অটো ও ইঞ্জিন ভ্যানের মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হল মেয়ে ও বাবার। জখম হয়েছেন আরও ৭ জন। মঙ্গলবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর চৌকিদার মোড়ে। পুলিশ জানিয়েছে, বছর ছ’য়ের অয়ন্তিকা ও তার বাবা হারান নস্কর (৪১) মারা গিয়েছেন। তাঁদের বাড়ি বাসন্তীর মসজিদবাটির দক্ষিণ মোকামবেড়িয়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন হারান মেয়েকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাচ্ছিলেন। গদখালির দিক থেকে আসা একটি অটোতে উঠে বাসন্তীর দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। চৌকিদার মোড়ের কাছে অটোটির সঙ্গে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ইঞ্জিন ভ্যানের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। দু’টি গাড়িই উল্টে যায়। আহতদের উদ্ধার করে বাসন্তী ব্লক হাসপাতলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক অয়ন্তিকাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে অয়ন্তিকার বাবা হারান, শ্রীনিবাস মণ্ডল, কামালউদ্দিন সর্দার, পরিমল মৃধা, শুভঙ্কর মৃধা ও নরেন্দ্রনাথ হালদারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে সেখানে মারা যান হারান।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, বাসন্তী ব্লক এলাকার বিভিন্ন রাস্তার ধারে ইমারতি দ্রব্য বালি, পাথর রেখে অনেকে ব্যবসা করছেন। যে কারণে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এ দিনও রাস্তার ধারে বালি, পাথর পড়েছিল। বাসিন্দাদের দাবি, সে জন্য অটোটি ইঞ্জিন ভ্যানকে পাশ দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে।
ঘটনার খবর পেয়ে বাসন্তী ব্লক হাসপাতালে যান পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ হীরা সর্দার। তিনি বলেন, ‘‘এটা ঠিক, কিছু লোকজন রাস্তার ধারে ইমারতি দ্রব্য ফেলে রাখছে। যে কারণে দুর্ঘটনা ঘটছে বলে খবর পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে আমরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে প্রশাসনকে বলব, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।’’
হারানের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এলাকাবাসীও তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় করেছেন। স্ত্রী বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন। বৌদি রিনা নস্কর বলেন, ‘‘রাস্তার ধারে বালি, পাথর ফেলে লোকজন ব্যবসা করছে। ফলে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রশাসন সব কিছু দেখেও কোনও ব্যবস্থা নেয় না। এর আগেও রাস্তার ধারে পড়ে থাকা বালি, পাথরের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ দিন দু’টি প্রাণ চলে গেল। সব দেখেও চুপচাপ প্রশাসন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy