ছবি: সংগৃহীত।
কোথাও পোস্টার ছেঁড়া, কোথাও পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই—এমন অভিযোগ ঘিরে ভোটের আগে সরগরম হয়ে উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনা। রবিবার এই জেলার দমদম, বারাসত ও বসিরহাট লোকসভা আসনে ভোট। তার আগে বারাসতের অশ্বিনীপল্লি এলাকায় ফরওয়ার্ড ব্লকের দলীয় পতাকা এবং পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বারাসত থানায় ফরওয়ার্ড ব্লকের তরফে অভিযোগে জানানো হয়েছে, ওই এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে প্রচারের সমস্ত কিছু খুলে ছিঁড়ে ফেলা হয়।
শুক্রবার সকালে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী হরিপদ বিশ্বাস ঘটনাস্থলে যান। তবে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদারের পাল্টা দাবি, বিরোধীদের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এ সব ঘটনা। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক অন্তরা আচার্য জানিয়েছেন, অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। ভোটের দিনও একই রকম তৎপর থাকবে নির্বাচন কমিশন।
বসিরহাট লোকসভার শাসন থানার দুগদিয়া পলতাডাঙা হাইস্কুল এবং আমিনপুর কেএমসি মাদ্রাসায় ১০০ জন করে মহিলা ও পুরুষ পুলিশ ইতিমধ্যে এলেও পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী আসেনি বলে অভিযোগ তুলেছে বামেরা। শাসনের মতো জায়গায় শুধু রাজ্য পুলিশ দিয়ে কী করে অবাধ ভোট সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জেলাশাসক বলেন, ‘‘উত্তেজনাপ্রবণ প্রতিটি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। কোনও সমস্যা হলে সরাসরি ফোন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
জেলাশাসক জানান, সমস্যা এড়াতে যে সব সেক্টর অফিসারের গাড়িতে অতিরিক্ত ইভিএম থাকবে তাঁদের মোবাইল ট্র্যাক করা হবে। কোনও বুথে ইভিএম খারাপ হলেই সেখানে অতিরিক্ত ইভিএম পাঠানো হবে। সেগুলি যথাযথ জায়গায় পৌঁছল কি না, মোবাইল থেকে সে ব্যাপারে নজরদারি চালাবে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার রাতে বসিরহাট কেন্দ্রের রাজারহাট থানার কামদুনিতে ভাস্কর মণ্ডল নামে এক বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে তৃণমূল সমর্থকেরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এই ধরনের ঘটনা কিংবা কামদুনি, শাসনের মতো উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা নিয়ে জেলাশাসক এ দিন অবশ্য জানিয়েছেন, এ রকম কিছু জায়গা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই গোলমাল এড়াতে পর্যবেক্ষকের সঙ্গে আলোচনা করে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। ভিডিয়োগ্রাফিও করা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy