হাসপাতালে রউফ। এই সাপটিই কামড়েছে। নিজস্ব চিত্র
ঘুমন্ত অবস্থায় বিষাক্ত কালাচ সাপের ছোবল খান বছর তেত্রিশের যুবক গোলাম রউফ সর্দার। সাপ মেরে প্লাস্টিকে ভরে সোজা হাজির হন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। বর্তমানে সিসিইউতে ভর্তি তিনি। জীবনতলা থানার ইটখোলা গ্রামে বাড়ি হলেও প্রতিদিন রাতে বকুলতলায় মেছোভেড়ির আলা ঘরে ঘুমোতে যান গোলাম। শনিবার রাত ন’টা নাগাদ বাড়ি থেকে খাওয়া দাওয়া করে ভেড়িতে চলে যান। বিষাক্ত ছোবলে আচমকা ঘুম ভাঙে। তাঁর শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে হাসপাতালে দেরি করে এলে সমস্যা বাড়তে পারত বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। গোলাম বলেন, ‘‘কী সাপে কামড়েছে, তা জানলে চিকিৎসায় সুবিধা হয় বলে শুনেছিলাম। তাই সাপটাকে নিয়ে চলে আসি।’’ ক্যানিং যুক্তিবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থার কর্মী দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‘মানুষ আগের থেকে অনেক বেশি সচেতন হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু তবুও কিছু কিছু মানুষ এখনও কুসংস্কারে বিশ্বাস করছেন। আরও বেশি করে সমাজকে সচেতন করতে হবে।”
অন্য একটি ঘটনায়, চন্দ্রবোড়া সাপের ছোবলে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বছর আঠারোর এক তরুণী। বাড়ি জয়নগর থানার পাঁচঘড়া গ্রামে। তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে ক্যানিং হাসপাতালে। কোয়েল হালদার নামে ওই তরুণীর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
তবে কাছাকাছি বারুইপুর হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে কোয়েলকে পাঁচ ঘণ্টা পথ পেরিয়ে ভর্তি করা হয় ক্যানিং হাসপাতালে। এখানে সাপে কাটা রোগীর ভাল চিকিৎসা হয় শুনেছিলেন বলেই মেয়েকে এনেছেন বলে জানিয়েছেন কোয়েলের বাবা সোমনাথ। তবে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সাপে কাটা রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরি।
বুলবুলের পরে সাপের ছোবলের আশঙ্কা বেড়েছে। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অধিকাংশ হাসপাতালে এভিএস ইঞ্জেকশন পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য কর্তারা। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এভিএস নিয়ে কোথাও কোনও সমস্যা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy