উদ্যোগ: মশা নিধনে তেল স্প্রে করা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র
বনগাঁ পুর এলাকায় এখনও সে ভাবে জ্বর বা ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়েনি। কিন্তু মহকুমার বাগদা গাইঘাটা এলাকায় জ্বর ডেঙ্গির প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। তাই আগেভাগে মশা মারতে তৎপর হল বনগাঁ পুরসভা। কী ভাবে মশার উপদ্রব বন্ধ করা যায়, তা নিয়ে সোমবার পুরসভায় বৈঠক করেছেন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য।
পুরসভার পক্ষ থেকে বেশ কিছু দিন ধরেই মাঝে মধ্যে এলাকায় মশা মারার কামান, তেল স্প্রে করার শুরু হয়েছিল। এ বার ঠিক হয়েছে, বুধবার থেকে সপ্তাহে তিন দিন পুর এলাকার প্রতিটি বাড়িতে মশা মারার তেল স্প্রে করা হবে। সে জন্য পঞ্চাশজন কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছে। ওই কাজ ঠিক মতো হচ্ছে কিনা, তা জানতে প্রতিটি বাড়ির কাছ থেকে মশা মারার তেল স্প্রে হওয়ার পরে সই করিয়ে আনতে হচ্ছে কর্মীদের।
পুরপ্রধান জানিয়েছেন, এখন থেকে নিয়মিত ভাবে মশা মারার কামান দাগা হচ্ছে। একশো জনের মহিলা স্বাস্থ্য কর্মীদের একটি দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশার লার্ভা শনাক্ত করছেন। ডেঙ্গি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে তাঁরা সচেতনও করছেন।এলাকার মানুষের বক্তব্য, মশার উপদ্রব বেড়েছে। বিশেষ করে গ্রাম ঘেঁষা ওয়ার্ডগুলিতে। অভিযোগ, জঙ্গল সাফাই ও নিকাশি নালা আরও বেশি করতে না পারলে মশার উপদ্রব কমবে না।
অন্য দিকে, বর্জ্য সাফাইয়ের জন্যও উদ্যোগ করছে বনগাঁ পুরসভা।
বাড়ির সামনে হঠাৎ বেজে উঠছে মিউজিক। তাতে বলা হচ্ছে, ‘আমরা পরিবেশ বন্ধু। আপনার বাড়ির নোংরা আবর্জনা আমাদের দিয়ে যান। নির্মল বাংলা গড়তে সহযোগিতা করুন।’ গাড়িগুর গায়ে লেখা, ‘সুস্থ পরিবেশ গড়ে উঠুক প্রকৃতির হাত ধরে।’
বনগাঁ শহরকে দূষণমুক্ত শহর হিসাবে গড়ে তুলতে পুরসভার পক্ষ থেকে কেনা হয়েছে, ব্যাটারি চালিত আধুনিক ও দূষণ মুক্ত বর্জ্যবাহী ই- যান। দেখতে অনেকটা ই-রিকশার মতোই। পুরপ্রধান জানান, ২৫টি ই-যান কেনা হয়েছে প্রথম পর্যায়ে। ভবিষ্যতে ওই গাড়ির সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
পুর এলাকায় প্রায় ৩৫ হাজার পরিবারের বাস। এত দিন পায়ে টানা ভ্যানে করে বাড়ি বাড়ি থেকে নোংরা আবর্জনা নিয়ে আসা হত পুরসভার পক্ষ থেকে। তাতে কাজ নিয়মিত হচ্ছিল না। অনেকেই বাড়ি আবর্জনা বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে ফেলে রাখতেন। পুরসভার ভ্যাটেও ফেলতেন। তাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হত অনেক সময়ে। বৃষ্টি হলে ওই আবর্জনা মাড়িয়ে লোকজনকে যাতায়াত করতে হত। আবর্জনা থেকে মশার উপদ্রবও বাড়ছিল।
পুরসভা সূত্রের খবর, আবর্জনা নিয়মিত সংগ্রহ করে তা স্থানীয় পূর্বপাড়ায় পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ফেলা হচ্ছে। এতে মশার উপদ্রব কমবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy