Advertisement
০৭ মে ২০২৪

যত্ন নেন ওঁরা ক’জন 

শুশ্রূষা সেরে অনুপম নাইয়া বললেন, ‘‘কাজ শেষ। তবে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় আছে। কয়েকটা দিন চোখে চোখে রাখতে হবে।’’

অসুস্থ কুকুরের শুশ্রূষা। —নিজস্ব চিত্র।

অসুস্থ কুকুরের শুশ্রূষা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ক্যানিং শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:৩৪
Share: Save:

ওষুধ মেশানো গরম জলে তুলো ভিজিয়ে ক্ষত জায়গাটায় বুলিয়ে দিচ্ছিলেন এক যুবক। বাকিরা কেউ রোগীর পা, কেউ মুখ ধরে রেখেছেন।

শুশ্রূষা সেরে অনুপম নাইয়া বললেন, ‘‘কাজ শেষ। তবে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় আছে। কয়েকটা দিন চোখে চোখে রাখতে হবে।’’

যাকে নিয়ে এত চিন্তা, সে অবশ্য চিকিৎসার পরে দু’টো বিস্কুট পেয়েই দিব্যি খুশি। লেজ নাড়াতে নাড়াতে রোদ্দুর পোহাতে বেরিয়ে গেল।

বছরখানেক ধরে রাস্তা থেকে জখম কুকুর, বেড়াল, গরু ধরে এনে চিকিৎসা করেন অনুপম নাইয়া, সাহেব সাঁফুইরা। কেউ মুদিখানার কর্মচারী। কেউ কলেজ পড়ুয়া। সকলে সামান্য টাকা জমিয়ে জমিয়ে খরচ চালান। সংগঠনের নাম দিয়েছেন ‘ক্যানিং অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।’ সংগঠনের নিজস্ব ঘরও আছে। বারো জন যুবক-যুবতীর সঙ্গে এই কাজে হাত লাগিয়েছেন এক পশু চিকিৎসকও।

সংগঠনের সদস্যেরা জানালেন, পথেঘাটে কত যে কুকুর! প্রতি বছরই সংখ্যাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। অনেক মানুষ অতিষ্ঠ কুকুরের দাপটে। ফলে সব সময়ে পথের অবলা প্রাণী যে ভাল ব্যবহার পাবে, তা-ও হয় না। ধারাল অস্ত্র দিয়ে ছোট ছোট কুকুরকে কোপানো হয়েছে, এমন উদাহরণও দেখেছেন তাঁরা। সাহেব, অনুপমরা বলেন, ‘‘বেশ কিছু কুকুরকে দেখতাম আহত অবস্থায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেক সময়ে ধুঁকতে ধুঁকতে অনেককে মারা যেতেও দেখেছি। কষ্ট হত। কী করব, বুঝে উঠতে পারিনি। এক সময়ে সমমনস্ক অনেককে পেয়ে গেলাম। এখন সকলে মিলে যতটা পারি পরিচর্যা করি।’’ পশুর আঘাত গুরুতর হলে অনেক সময়ে সংগঠনের কার্যালয়ে এনে রাখাও হয় বলে জানালেন তাঁরা। সেখানে স্যালাইন দেওয়ার ব্যবস্থা আছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Canning ক্যানিং Dog Murder Crime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE