আবির খেলায় মেতেছে পড়ুয়ারা। ছবি: অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ নিয়ে ৩২ বার কাটোয়া কলেজ নিজেদের দখলে রাখল ছাত্র পরিষদ।
বুধবার জেলার ২৬টি কলেজে মধ্যে একমাত্র কাটোয়া কলেজেই ভোট হয়। বিকেলে ফল ঘোষণার পরে জানা যায়, ৪২টি আসনের সবকটিই পেয়েছে ছাত্র পরিষদ। উল্লাসে সবুজ আবির ও বাজি ফাটাতে ফাটাতে কাছাড়ি রোড হয়ে স্টেশন বাজারে কংগ্রেসের অফিসে যান পড়ুয়ারা। সেখানে ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। জয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, “কাটোয়া কলেজের পড়ুয়ারা শান্তি চান। তাই ছাত্র পরিষদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা।”
সকাল থেকেই কলেজ ও লাগোয়া ২০০ মিটার এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে রেখেছিল মহকুমা প্রশাসন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশান্ত চৌধুরীর নেতৃত্বে দেড়শো পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল। রাস্তার উপরে দু’টি চেকিং পয়েন্ট করে ভোটারদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করছিল প্রশাসন ও কলেজ কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার রাত থেকেই অবশ্য শহর জুড়ে সাজো সাজো রব ছিল। ছাত্র পরিষদ ও টিএমসিপি কাছারি রোড, ডাকবাংলো রোড, স্টেশন রোড ও সার্কাস ময়দানে নানারকম ফ্লেক্স, ফেস্টুন, দলীয় পতাকা সাজায়। সকাল থেকে শহরের নানা জায়গায় চলে প্রচারও। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, বেলা ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ভোটারদের কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয়। বেলা ২টো পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। আড়াইটে থেকে গণনা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই ফল ঘোষণা হয়ে যায়। এর মাঝে অবশ্য টিএমসিপি-র সমর্থকেরা পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ তোলে। পক্ষপাতেরও অভিযোগ তোলে। শেষে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে ভোট বয়কেটর সিদ্ধান্ত নেয় তাঁরা। পরে এক পুলিশকর্মীকে ঘটনার তদন্তে স্বার্থে ক্লোজ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
কয়েক মাস আগে বৈঠক করে এই কলেজেই যে কোনও মূল্যে ছাত্র সংসদ দখল করার কথা বলেছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তবে সবক’টি আসনে এ বারেও প্রার্থী দিতে পারেনি টিএমসিপি। এ দিন অবশ্য স্বপনবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় নি। এ দিকে, টিএমসিপি-র ছাত্রের উপর লাঠি চালানোর অভিযোগে পুলিশকর্মীর ক্লোজ হওয়া নিয়ে সবর হয়েছে বিরোধী সংগঠনগুলি। তাঁদের দাবি, পুলিশ নিরপেক্ষ থাকার চেষ্টা করাতেই এমনটা হল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy