গলসির নজরুলপল্লির বাড়ি উঁচু করার কাজ চলছে। ছবি: কাজল মির্জা
রাস্তা থেকে বাড়ির মেঝে নিচু। ফলে ফি বর্ষায় জল ঢুকে যায় বাড়িতে। আসবাব, বিছানা তো ভেজেই জেগে রাত কাটাতে হয় পরিবারের সদস্যদেরও। সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আস্ত একতলা বাড়িটাকেই মাটি থেকে প্রায় চার ফুট উঁচুতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গৃহকর্তা। হরিয়ানার একটি সংস্থা কাজও শুরু করে দিয়েছে সেই মতো।
২ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া গলসির নজরুল পল্লিতে বাড়ি ব্যাঙ্ককর্মী ইমদাদুল হকের। পাঁচটি ঘরের একতলা বাড়িটি ১৯৮২ সালে তৈরি। বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, দেওয়ালের নীচে অংশ কেটে তাতে ‘জগ’ বসাচ্ছেন বরাত পাওয়া সংস্থার কয়েকজন মিস্ত্রি। তদারকি করছেন ওই সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার রাকেশ রওশন। আর আস্ত বাড়ি উঁচু করা দেখতে ভিড় জমিয়েছেন পড়শিরা। ইমদাদুল হক জানান, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের পরে পাড়ায় বাড়ি বেড়েছে। সবাই উঁচু করে বাড়ি করায় রাস্তাও উঁচু হয়ে গিয়েছে। ফলে বর্ষা নামলেই এক হাঁটু জল জমে যায় তাঁদের ঘরে। তাঁর কথায়, ‘‘রাতে বৃষ্টি হলে ঘুমোতে পারি না। তা ছাড়া বাড়িটি এত নিচু হয়ে গিয়েছে যে শুয়ে থাকলে শ্বাসকষ্ট হয়। কিন্তু এত বড় বাড়িটা ভাঙতেও পারছিলাম না, বিক্রি করতেও পারছিলাম না। তাই এই সিদ্ধান্ত।’’
মিস্ত্রিরা জানানা, প্রতিটি দেওয়ালের নীচের অংশ নিখুঁত মাপজোক করে কেটে জগ বসিয়ে পুরো বাড়িটিকে তার উপর দাঁড় করিয়ে দেওয়া হবে। তারপর নির্দিষ্ট লিভার ঘুরিয়ে বাড়িটিকে মাটি থেকে উঁচুতে তোলা হবে। পরে দেওয়ালের ফাঁকা অংশে ইট, বালি ও সিমেন্টের গাঁথনি দিয়ে ভরাট করে দেওয়া হবে। রাকেশবাবু দাবি, এই প্রযুক্তি এই রাজ্যে প্রথম নয়। আসানসোল, ব্যান্ডেলে সহ বহু এলাকাতে এ ভাবে বাড়ি তোলা, সরানো হয়েছে।
যোগাযোগ হল কী ভাবে? ইমদাদুল হক বলেন, ‘‘ব্যান্ডেলের বাড়ি তোলা ঘটনা কাগজে পড়েছিলাম। তারপরে এই সংস্থার সঙ্গে ইন্টারনেটে যোগাযোগ করে চুক্তি করি।’’ তিনি জানান, প্রতি বর্গফুটে ২৮০ টাকা করে খরচ হচ্ছে। তা ছাড়া বাড়ি তোলার সময় কোনও ক্ষতি হলে, ক্ষতিপূরণ দেবে সংস্থা। আগামী কয়েকবছরও দেখভালের দায়িত্বও তাদের। সংস্থার এক কর্তা বলেন, ‘‘বাড়ি তোলার পরে দোতলা গড়া যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy