গতানুগতিক কাজের বাইরে গিয়ে নানা যন্ত্র বিলি করা হয়েছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মধ্যে। গরিব পরিবারের পড়ুয়াদের দেওয়া হয়েছে বই-খাতা-কলম। নিখরচায় অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা-সহ গ্রামবাসীর দিকে বিভিন্ন রকম পরিষেবার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতের তরফে। কালনার বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের এই কাজ নজর এড়ায়নি ঊর্ধ্বতন কর্তাদের। তারই ফল হিসেবে কেন্দ্রের নানাজি দেশমুখ রাষ্ট্রীয় গৌরব পুরস্কার পাওয়ার দৌড়ে রয়েছে পঞ্চায়েতটি। মঙ্গলবার সে জন্য এলাকায় পরিদর্শনও করে গেলেন কেন্দ্রের দুই প্রতিনিধি। স্বীকৃতি মিলতে চলেছে, দাবি পঞ্চায়েতের কর্তাদের।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পঞ্চায়েত মন্ত্রক ভাল কাজের জন্য প্রতি বছর প্রতি রাজ্য থেকে একটি করে পঞ্চায়েতকে পুরস্কৃত করে। সে জন্য পঞ্চায়েতগুলিকে অনলাইনে কাজের খতিয়ান জানাতে হয়। গতানুগতিকতার বাইরে সারা বছর কী করা হয়েছে, সে সব তথ্য ও ছবি দিয়ে জানাতে হয়। প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা অ্যালবাম তৈরি করতে হয়। সঙ্গে বেশ কিছু প্রশ্নের জবাব দিতে হয় পঞ্চায়েতকে। বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের তরফে পুজোর আগে তা করা হয়েছিল। রাজ্য স্তরে বেশ কিছু পঞ্চায়েতের মধ্যে বেছে নেওয়া হয় বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতটিকে।
এ দিন পঞ্চায়েত পরিদর্শনে আসেন নাসির আলি ও অক্ষয় মহাপাত্র নামে কেন্দ্রের দুই সদস্য। তাঁরা পঞ্চায়েত ভবনে নানা নথিপত্র দেখার পরে সাবিতপুর গ্রামে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও বৈদ্যপুর এলাকায় একটি একশো দিনের কাজে স্কুলের উন্নয়নের কাজ ঘুরে দেখেন।
কালনা ২ বিডিও মিলন দেবগড়িয়া বলেন, ‘‘প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের কাজকর্ম দেখে খুশি। তাঁরা জানিয়ে গিয়েছেন, নানা রাজ্যে বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতের কাজ দেখেছেন। তবে এই পঞ্চায়েত অনেক ভাল কাজ করেছে।’’ বিডিও-র দাবি, কেন্দ্রের পুরস্কার পাওয়া প্রায় নিশ্চিত এই পঞ্চায়েতের, তা ওই সদস্যেরা বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছেন। ২৪ এপ্রিল দিল্লিতে ওই পুরস্কার দেওয়ার কথা।
ব্লক প্রশাসন জানায়, বৈদ্যপুরে মেয়েদের স্বনির্ভর করতে পঞ্চায়েতের তরফে সেলাই, মিক্সি-সহ নানা যন্ত্র দেওয়া হয়েছে। ধারাবাহিক ভাবে পঞ্চায়েতের তহবিল থেকে গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েদের শিক্ষাসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা গরিব পরিবারের রোগীদের আয়ার খরচ মেটানো হয়েছে পঞ্চায়েতের তহবিল থেকে। এ ছাড়াও গরিব পরিবারের সদস্যদের নিখরচায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা-সহ নানা সমাজসেবার কাজ করেছে পঞ্চায়েতটি। কালনার মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, ‘‘এই পঞ্চায়েতের কৃতিত্ব অন্যদের পথ দেখাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy